বান্দরবানের থানচি ও রুমা উপজেলায় ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় চাঁদের গাড়িচালক ও তিনজন কেএনএফ সদস্যসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনী। গতকাল রোববার রাতে থানচি ও বান্দরবান সদর এলাকার সুয়ালক চেকপোস্টে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে আজ সোমবার তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। সেই সঙ্গে জেলার দুই উপজেলায় পরিস্থিতি মোকাবিলায় ৪টি আধুনিক সাঁজোয়া যান পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ বলছে, জেলার থানচি ও রুমার ব্যাংক ডাকাতি, অস্ত্র লুটের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে থানচি থেকে গাড়িচালক মোহাম্মদ কফিল উদ্দিন সাগরকে (২৮) গ্রেপ্তার করে যৌথবাহিনী। তিনি উপজেলার টিঅ্যান্ডটি পাড়া এলাকার মো. ইউছুফের ছেলে।
গ্রেপ্তার হওয়ার কুকি-চিনের সদস্যরা হলেন—ভানুনুন নুয়াম বম, জেমিনিউ বম ও আমে লনচেও বম।
এ বিষয়ে সোমবার দুপুরে বান্দরবান জেলা পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন বলেন, ‘গত রোববার রাতে থানচি ও বান্দরবান সদরের সুয়ালক চেকপোস্ট এলাকায় অভিযান চালিয়ে ব্যাংক ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত গাড়ির চালকসহ মোট ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে, তাদের নামে মামলা রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘উপজেলাগুলোতে অভিযানের অংশ হিসেবে রুমা ও থানচি উপজেলার জন্য ৪টি সাঁজোয়া যান (এপিসি) আনা হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে এপিসি আরও বাড়ানো হবে।’
গতকাল থেকে রুমা ও থানচিতে অভ্যন্তরীণ যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এরই মধ্যে যৌথবাহিনীর কম্বিং অপারেশনের প্রতিবাদে সোমবার বিকেল ৫টা থেকে বান্দরবানের রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়ি এলাকা সমূহের সকল ধরনের যান চলাচলে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কেএনএফ।
এ বিষয়ে রুমা বাস মালিক সমিতির লাইনম্যান জাকির হোসেন জানান, সকাল থেকে রুমায় গণপরিবহনসহ অভ্যন্তরীণ যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে স্থানীয়রা কেউ বের হচ্ছে না।