ফেনীর মহিপালে ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে এক শিক্ষার্থী নিহতের মামলায় ফেনী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) নিজাম উদ্দিন হাজারীর ব্যক্তিগত সচিব (পিএস) মো. ফরিদ প্রকাশ মানিককে দ্বিতীয় দফায় ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফেনী মডেল থানা পুলিশের উপপরিদর্শক বেলাল হোসেন তাঁর ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম শামসাদের বেগম আদালত এ আদেশ দেন।
একইদিন সরোয়ার জাহান মাসুদ নামের ওই শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ফেনী পৌরসভার সুলতানপুর এলাকার মোহাম্মদ মমতাজুল হকের ছেলে ফেনী পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মো. এনামুল হককে ২ দিন এবং দাগনভূঞা উপজেলার মাতুভূঞা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন মেজুকে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
এর আগে, ১২ আগস্ট আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে যাওয়ার চেষ্টাকালে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপির পিএস মানিককে আটকে দেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে তাঁকে আখাউড়া থানায় পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। সেই সময় ফেনী মডেল থানায় করা একটি হত্যা মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। গত ৯ সেপ্টেম্বর মহিপালে নিহত ওয়াকিল আহমেদ শিহাব হত্যা মামলায় তাঁকে প্রথম দফায় ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
একই ঘটনায় ১১ সেপ্টেম্বর জেলার দাগনভূঞা এলাকা থেকে মেজবাহ উদ্দিন মেজু ও ১ সেপ্টেম্বর ফেনীর আদালত পাড়া এলাকা থেকে মো. এনামুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রসঙ্গত, ১৬ আগস্ট মহিপালে নিহতদের মধ্যে ডিগ্রি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী সরোয়ার জাহান মাসুদের মা বিবি কুলসুম বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় ১৩৪ জনের নাম উল্লেখ এবং ১৫০-২০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে এ মামলা করা হয়। নিহত মাসুদ দাগনভূঞা উপজেলার উত্তর জয়লস্কর এলাকার মো. শাহজাহানের ছেলে।