ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ভারত থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী বাসে হামলা নয়, দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল বলে জানিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মো. জাবেদুর রহমান। আজ রোববার জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এই কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘গতকাল (শনিবার) ঘটে যাওয়া সড়ক দুর্ঘটনার খবরটি ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংখ্যালঘুদের ওপর পরিকল্পিত হামলা বলে মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হয়। মূলত চারলেন সড়কের নির্মাণকাজের জন্য কুমিল্লা-সিলেট স্বাভাবিকভাবেই সরু, ফলে বিভিন্ন সময় দুর্ঘটনা ঘটে।’
মো. জাবেদুর রহমান বলেন, ‘গতকাল আগরতলা থেকে ছেড়ে আসা শ্যামলী পরিবহনের বাস ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চান্দিয়ারা এলাকা অতিক্রম করার সময় একটি ট্রাক সেটিকে ওভারটেক করতে গিয়ে চাপ দেয়।
এ সময় বাসটি বাঁ দিকে সরে গিয়ে একটি তিন চাকার ভ্যানকে চাপা দেয়। এতে ভ্যানটি ক্ষতিগ্রস্ত ও চালক আহত হয়। তবে বাসে থাকা সকল যাত্রীরা অক্ষত ছিলেন। বাসের ১৭ জন ভারতীয় এবং ৯ জন বাংলাদেশি যাত্রী ছিলেন। ঘটনার পর শ্যামলী পরিবহনের বাসচালক আসাদুল হক ও ভ্যানচালক ইব্রাহিমের মধ্যে তর্ক বিতর্ক হয়।
খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বাসের কর্তৃপক্ষ এবং ভ্যানচালকের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে মীমাংসা করে। পরে বাসটি ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। সেখানে হামলা কিংবা কোনো দেশ বা সম্প্রদায়কে কটাক্ষ করে কোনো বক্তব্য দেওয়া হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে একটি চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে এ অবস্থায় এমন গুজব রটিয়ে দুই দেশের জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানো অত্যন্ত দুঃখজনক।’
সংবাদ সম্মেলনে শ্যামলী পরিবহনের বাসচালক মো. আসাদুল হক বলেন, ‘একটি ট্রাক ওভারটেক করতে গেলে আমি ইমার্জেন্সি ব্রেক কষে দাঁড়িয়ে যাই। এ সময় পেছনে থাকা একটি তিন চাকার কাভার্ড ভ্যান ধাক্কা লাগে। এতে ভ্যানটি বাসের পেছনে আটকে যায়। বিষয়টি হাইওয়ে থানা-পুলিশকে অবহিত করা হলে পুলিশ এসে রেকার দিয়ে ভ্যানটি সরিয়ে নেয়। দুর্ঘটনায় বাসের কোনো ক্ষতি হয়নি কিংবা যাত্রীরা আঘাতপ্রাপ্ত হননি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাসে থাকা ভারতীয় যাত্রীদের সঙ্গে স্থানীয় সাধারণ মানুষের কোনো বাগ্বিতণ্ডা বা ঝামেলা হয়নি। ভারতীয় গণমাধ্যমে বাসে হামলার খবর দেখে আমিও অবাক হয়েছি।’