জমির উদ্দিন, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-পাহাড়তলী) আসনের আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় পিস্তল হাতে গুলি করা সেই ব্যক্তির পরিচয় মিলেছে। তার নাম শামিম আজাদ ওরফে ব্ল্যাক শামিম। তিনি ওমরগণি এমইএস কলেজ ছাত্রলীগের নেতা এবং ১৩ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শামিম আজাদের হাতের অস্ত্রটি নাইন এমএম পিস্তল, যেটি ৭.৭৫ মডেলের চেয়ে আপডেটেড।’
শামিম আজাদের বিরুদ্ধে মিরসরাই থানায় একটি হত্যা মামলা ও একটি চাঁদাবাজির মামলা আছে। তিনি কাউন্সিলর মো. ওয়াসিম চৌধুরীর অনুসারী। ওয়াসিমের সঙ্গে তাঁর বেশকিছু ছবি রয়েছে।
আজ রোববার সকাল ১১টার দিকে খুলশীস্থ পাহাড়তলী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ কেন্দ্রের বাইরে চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-পাহাড়তলী) আসনের আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে দুজন গুলিবিদ্ধ হয়। এতে গুলি করতে দেখা যায় শামিম আজাদকে।
এই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হন- শান্ত বড়ুয়া (২৪) ও মো. জামাল (৩৫। দুজনই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) ভর্তি আছেন।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে কাউন্সিলর ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার অনুসারীতো অনেকই আছে। শামীম আজাদ আমার অনুসারী সেটিতো মানুষ বলবেই। গুলির করার বিষয়ে আমি অবগত নই। আমি বাসায় আছি।’
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (দক্ষিণ) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার পঙ্কজ দত্ত আজকের পত্রিকাকে বলেন, অস্ত্র হাতে ওই যুবককে খুঁজছে পুলিশ। সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। জড়িতদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।