ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে চট্টগ্রামে পাহাড় ধসের আশঙ্কায় পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকি নিয়ে বসবাসকারী আরও শতাধিক পরিবারকে সরানো হয়েছে। আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় নগরীর মতিঝরনা ও বাটালি হিল পাহাড় থেকে এ পরিবারগুলোকে নিরাপদ স্থানে পাঠিয়ে দেয় জেলা প্রশাসন।
চট্টগ্রাম প্রশাসনের জেলা সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নেজারত ডেপুটি কালেক্টর মো. তৌহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গতকাল শনিবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত নগরীর আকবর শাহ থানার ফয়সলেক ঝিল পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারী ১৫০ পরিবারকে নিরাপদ স্থানে পাঠানো হয়।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে চট্টগ্রাম, সিলেট ও বরিশাল এই তিন বিভাগে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। সাধারণত ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টিকে ভারী এবং ৮৯ মিলিমিটার বা তার চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড হলে তাকে অতি ভারী বর্ষণ বলে।
অতি ভারী বর্ষণের ফলে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে চট্টগ্রামে আজ ভোর থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি চলছে।
ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক আব্দুল মালেক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পাহাড়ের পাদদেশে ৯০ ডিগ্রি বরাবর চিহ্নিত ঘরগুলো অতি বৃষ্টিতে চরম ঝুঁকিপূর্ণ।’
সহকারী কমিশনার (ভূমি) জামিউল হিকমাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মতিঝরনা-বাটালি হিল এলাকায় অভিযান চালানোর সময় দেখা যায় বেসরকারি এনজিও সংস্থা জাগো ফাউন্ডেশন পাহাড় কেটে স্কুল বানিয়েছে। এটি নিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরে একটি মামলা দেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
আরও পড়ুন: