নোয়াখালীর হাতিয়ায় স্কুলছাত্রী ও তার মাকে বেঁধে নির্যাতন ও ভিডিও ধারণের পর টিকটক বানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল শুক্রবার রাতে চট্টগ্রামের পটিয়া থানার কুসুমপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁর কাছ থেকে একটি স্মার্ট ফোনটি জব্দ করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমির হোসেন।
গ্রেপ্তারকৃত আসামির নাম জিল্লুর রহমান (২০)। তিনি হাতিয়া উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের জহির উদ্দিনের ছেলে।
হাতিয়া থানার ওসি বলেন, ‘ঘটনার পর ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে ওই ছাত্রীর বাবা ইদ্রিস বাদী হয়ে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে জিল্লুর রহমানের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও দুই-তিনজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা-পরবর্তী অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে পুলিশ। পরে পটিয়া থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার রাতে তাঁকে হাতিয়া থানায় আনা হবে।’
উল্লেখ্য, জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে চুরির অভিযোগ দিয়ে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার বুড়িরচর ইউনিয়নের এক স্কুলছাত্রী (১৫) ও তার মাকে (৩৮) দড়ি দিয়ে বেঁধে নির্যাতন করা হয়। সেই সঙ্গে তা মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করেন জিল্লুরসহ কয়েকজন। পরে ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে টিকটক হিসেবে ছড়িয়ে পড়ে।
অভিযুক্তরা ওই স্কুলছাত্রী ও তাঁর মায়ের নাকে, কানে ও গলায় থাকা স্বর্ণালংকার এবং ঘর থেকে নগদ টাকা নিয়ে গেছে বলেও অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।