রাঙামাটি প্রতিনিধি
পার্বত্য চট্টগ্রামে চাষাবাদের একমাত্র পদ্ধতি হলো জুম। জুমের ফসল সংগ্রহ প্রায় শেষ পর্যায়ে। জুমে উৎপাদিত পণ্য নিয়ে রাঙামাটিতে চলছে প্রদর্শনী। প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে জুমে উৎপাদিত শত প্রকারের সবজি, তেলবীজ, তুলা, চাল, মসলা জাতীয় জুম পণ্য।
স্থানীয় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা প্রোগ্রেসিভের উদ্যোগে আজ সোমবার দিনব্যাপী রাঙামাটি শহরের আশিকা কনভেনশন হলে এ প্রদর্শনী হচ্ছে।
প্রদর্শনীতে ছিলেন— কৃষিবিদ পবন কুমার চাকমা, রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আওয়ালীন খালেক, হেডম্যান শান্তি বিজয় চাকমা ও প্রোগ্রেসিভ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক সুচরিতা চাকমা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে প্রদর্শনীতে ঘুরে ঘুরে জুম পণ্য দেখেন তাঁরা।
সুচরিতা চাকমা বলেন, জুমচাষে প্রধান ফসল ধান হলেও বিভিন্ন ধরনের ফসল উৎপাদন করছেন পাহাড়ের অধিবাসীরা। জুমের ফসল অনেকেই চেনেন না। এখন বিভিন্ন ধরনের সবজি, তুলা ও মসলা জাতীয় ফসল উৎপাদন হয় জুমে। এগুলো যেমন সুস্বাদু, তেমনি পুষ্টিগুণসম্পন্ন। জুম পণ্য সম্পর্কে পরিচিত করিয়ে দিতে এবং জুমচাষকে টিকিয়ে রাখতে এ আয়োজন করা হয়েছে।
প্রদর্শনীতে ঘুরে ঘুরে জুমে উৎপাদিত পণ্য দেখছেন দর্শনার্থী ও আগত অতিথিরা। সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক আয়োজনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে দিনব্যাপী এ মেলা।