কক্সবাজারের টেকনাফে কোস্ট গার্ড ও মাদক কারবারিদের মধ্যে গোলাগুলিতে একজন নিহত হয়েছেন। এ সময় মাদকদ্রব্য, দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র-গুলিসহ ১৬ জনকে আটক করেছেন কোস্ট গার্ড সদস্যরা।
কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লে. কমান্ডার মো. সিয়াম উল হক এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মিয়ানমার থেকে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ সমুদ্র উপকূল দিয়ে মাদকের একটি বড় চালান আসার খবর পায় কোস্ট গার্ড। এ তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার দিবাগত রাতে কোস্ট গার্ড সদস্যরা বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযানের সময় মিয়ানমারের মংডুর নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকা থেকে একটি বড় ইঞ্জিনচালিত ফিশিং ট্রলার বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ করে। কোস্ট গার্ডের আভিযানিক দল ট্রলারটি থামার সংকেত দিলে তারা দ্রুত কক্সবাজারের দিকে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় কোস্ট গার্ড সদস্যরা ফাঁকা গুলি ছুড়ে ট্রলারটি থামার সংকেত দিলে ট্রলার থেকে পাল্টা গুলিবর্ষণ শুরু করে।
লে. কমান্ডার মো. সিয়াম উল হক বলেন, কোস্ট গার্ড আত্মরক্ষার্থে ট্রলারটি অকেজো করার উদ্দেশ্যে ওয়াটার লাইন এবং ইঞ্জিনরুম বরাবর গুলি ছোড়ে। এরপর ট্রলারটি আটক করতে সক্ষম হয়। পরে ট্রলারে তল্লাশি করে ১০ হাজার ইয়াবা, তিনটি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, ৩টি তাজা গুলি ও ১৬ জনকে আটক করা হয়।
সিয়াম উল হক আরও বলেন, এ সময় ট্রলার তল্লাশি করে ইঞ্জিনরুমে একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
আটক ব্যক্তিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তাঁরা মিয়ানমার থেকে মাদকদ্রব্য পাচারের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে নিয়ে আসার সময় কোস্ট গার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে বিপুল পরিমাণ মাদক সাগরে ফেলে দেন। ফেলে দেওয়া মাদকদ্রব্য উদ্ধার অভিযান চলমান রয়েছে। জব্দকৃত মাদকদ্রব্য, আগ্নেয়াস্ত্র ও আটক ব্যক্তিদের পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।