হোম > সারা দেশ > চট্টগ্রাম

আমীর খসরুর বিরুদ্ধে এক মামলার চার্জশিট ও অন্য মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা 

আদালত প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের এক কর্মীকে ফোনালাপে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির উসকানি দেওয়ার অভিযোগে করা দুই মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ দুইজনের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দিয়েছে পুলিশ। এর মধ্যে বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা মামলায় অভিযোগপত্র (চার্জশিট) এবং একই অভিযোগে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে করা মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে। পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট চট্টগ্রামের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সঞ্জয় গুহ বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রতিবেদন দুটি সিএমএম আদালতের জিআরও (সাধারণ নিবন্ধন) শাখায় জমা দেন।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (প্রসিকিউশন) কামরুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিএনপি নেতা আমীর খসরুসহ দুজনের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় অভিযোগপত্র সিএস (চার্জশিট) দেওয়া হয়। মামলার অপর আসামি হলেন মিলহানুর রহমান নওমী। দুই আসামির অব্যাহতির সুপারিশ করে তথ্য প্রযুক্তি আইনে করা মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়।

বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, দুই আসামির বিরুদ্ধে রাষ্ট্র ও সরকারবিরোধী কার্যযকলাপ, নাশকতামুলক কর্মকাণ্ড ঘটিয়ে দেশকে অচল করার ষড়যন্ত্র, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটনোর অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। তাই দুই আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হলো।

চট্টগ্রাম নগর ছাত্রলীগের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর ২০১৮ সালের ৪ আগস্ট নগরের কোতোয়ালি থানায় মামলা দুটি করেছিলেন। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন (সংশোধিত ২০১৩ / ৫৭ (২) ধারা) এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫ (৩) ধারার পৃথক অভিযোগ আনা হয় দুই মামলায়। অভিযোগে বলা হয়, ইলেকট্রনিকস ডিভাইস ব্যবহারের মাধ্যমে দেশে নৈরাজ্যকর পরিবেশ তৈরির জন্য আমীর খসরু মাহমুদ অপর আসামিকে উসকানি দেন। ওই ফোনালাপের ভয়েস ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। ভয়েস ক্লিপটিতে কুমিল্লা জেলার নওমী নামের এক কর্মীর সঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ কথা বলার অভিযোগ ওঠে।

অডিও ক্লিপে নওমীকে কুমিল্লা থেকে ঢাকায় এসে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সক্রিয় করা এবং সাধারণ মানুষকে এ আন্দোলনে সম্পৃক্ত করার অনুরোধ করেন আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

প্রসঙ্গত, রাজধানীর কুর্মিটোলায় বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই দুপুরে রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী দিয়া খানম মিম ও আবদুল করিম রাজিব নিহত হন। এ ঘটনার নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামে। 

একই অভিযোগে করা তথ্য ও প্রযুক্তি আইনের মামলায় আনা অভিযোগ তথ্যগত ভুল ছিল বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। এ মামমায় দুই আসামির অব্যাহিতর সুপারিশ করা হয়েছে। 
 
আদালতসূত্র জানায়, দুই প্রতিবেদনের গ্রহণযোগ্যতা শুনানির জন্য দিন এখনও ধার্য করা হয়নি।

হেডফোন কানে রেললাইনে যুবক, ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত

ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবি চবির আধিপত্যবাদবিরোধী শিক্ষক ঐক্যের

লক্ষ্মীপুরে বিএনপি নেতার ঘরে আগুন: মামলা হয়নি, নাশকতার ‘বিশ্বাসযোগ্য’ প্রমাণ মেলেনি

কর্ণফুলীতে ট্রাফিক পুলিশের ওপর হামলা, আটক ১০

রাউজানে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে ৩ বসতঘরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ

কুমিল্লায় একাধিক মামলার আসামি শামীম গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামে ওসমান হাদির গায়েবানা জানাজা

লক্ষ্মীপুরে মাটি খুঁড়ে মিলল চট্টগ্রামে থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র, যুবক গ্রেপ্তার

মিরসরাইয়ে গাড়ির ধাক্কায় ভ্যানচালক নিহত

আনিসুল ইসলামের গ্রামের বাড়িতে হামলা-অগ্নিসংযোগ