মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি. হাসকে পেটাতে চাওয়া চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (বহিষ্কৃত) মুজিবের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার চাম্বল ইউপির ৪ নম্বর ওয়ার্ডের নন্না মিয়ার ছেলে আবু তাহের বাদী হয়ে আদালতে এই মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৩ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয় চাম্বল ইউপির বহিষ্কৃত চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরী ও ইউপি সচিব ফয়সাল আবেদীনসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে।
চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল হামিদের আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলার আরজি সূত্রে জানা যায়, বাদীর অজান্তে তার নাম ব্যবহার করে এয়ারটেল কোম্পানির 01615-110589 নম্বরের SIM সংগ্রহ করা হয়।
এতে আরও বলা হয়, চাম্বল ইউনিয়নের অতি দরিদ্রদের জন্য সরকারের ইজিপিপি বরাদ্দকৃত টাকা বাদীর অগোচরে সই জাল করে আত্মসাৎ করেন চাম্বল ইউপির বহিষ্কৃত চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরী, ইউপি সচিব ফয়সাল আবেদীন (৩২) ও সৌরভ দেব নাথ (৩০) নামে একজন।
আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মুজিবুল হক চৌধুরী বলেন, ‘রাজনৈতিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য একটি কুচক্রীমহল ধারাবাহিকভাবে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আসছে। আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।’
জানা গেছে, চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরী ২০২৩ সালের ৬ নভেম্বর বাঁশখালীর চাম্বল ইউনিয়নে ‘বিএনপি-জামায়াতের হরতাল ও নৈরাজ্যবিরোধী সমাবেশের’ ব্যানারে এক সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি. হাসকে পেটানোর হুমকি দেন। পরে বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রচারিত হলে তা নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানায় মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।
এর আগে ২০২২ সালে ইভিএমে ভোট পদ্ধতি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে আলোচনায় আসেন মুজিবুল হক। সে সময় তার বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে চাম্বল ইউপি নির্বাচন স্থগিতও হয়। পরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন মুজিবুল হক চৌধুরী।