নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে নুরুল ইসলাম নাহিদ (৪০) নামে এক পরিবহনকর্মীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে বাকলিয়া থানাধীন নতুন ব্রিজের নিচ থেকে অজ্ঞান অবস্থায় তাঁকে উদ্ধারের পর চমেক হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক নাহিদকে মৃত ঘোষণা করেন।
জানা যায়, নিহত নাহিদ চান্দগাঁও থানাধীন চেয়ারম্যান ঘাটা শামসুর কলোনির মৃত আকবর আহমদের ছেলে। তিনি পরিবহন সংস্থা হানিফ এন্টারপ্রাইজের সুপারভাইজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রহিম জানান, আজ সকালে দুজন লোক একটা সিএনজিচালিত অটোরিকশায় অজ্ঞান অবস্থায় নুরুল ইসলাম নাহিদকে প্রথমে তাঁর চান্দগাঁওয়ের বাসায় নিয়ে যান। সেখানে পরিবারের কাছে বলা হয়, তিনি দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন। পরে নাহিদের স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে একই সিএনজিতে করে তাঁরা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হন। পথের মধ্যে ওই দুই ব্যক্তি একটা অজুহাতে গাড়ি থেকে নেমে চলে যান। পরে তাঁর পরিবারের সদস্যরা নাহিদকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রহিম আরও জানান, লোকটির মৃত্যুর বিষয়ে এখনো নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে মরদেহের শরীরে সামান্য দগ্ধ ও হাতে কিছু ক্ষত চিহ্ন দেখা গেছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য আমাদের চারটি টিম মাঠে কাজ করছে। এ ছাড়া নুরুল ইসলাম নাহিদকে ব্রিজের নিচ থেকে উদ্ধার করে আনা ওই দুজনকে শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, এ ঘটনায় দুপুর পর্যন্ত পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো মামলা করা হয়নি।
এদিকে যে অটোরিকশায় করে নাহিদকে চমেকে আনা হয়, সেই গাড়ির চালক মো. আরিফ বলেন, ‘নতুন ব্রিজের বালুরমাঠ এলাকায় একটি দোকানের পেছন থেকে লোকটিকে (নিহত নুরুল ইসলাম নাহিদ) গাড়িতে তোলা হয়েছিল। তখন তাঁকে অজ্ঞান অবস্থায় দেখা যায়। পরে তাঁর সঙ্গে দুজন লোক সিএনজিতে ওঠেন। তাঁরা প্রথমে চান্দগাঁও এক কিলোমিটার এলাকায় যান। সেখানে দুটি মেয়ে সিএনজিতে ওঠেন। তবে গাড়িটি হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হওয়ার সময় ওই দুই ব্যক্তি গাড়ি থেকে নেমে যান।’