নানিয়ারচর (রাঙামাটি) প্রতিনিধি
রাঙামাটির নানিয়ারচরের সদর ইউনিয়নের চেঙ্গী নদীর লঞ্চ ঘাট। যত দূর চোখ যাবে শুধু কচুরিপানা। এটি যে নদী তা বোঝার উপায় নেই। মাত্র ৫ মিনিটের নৌ-পথ পাড়ি দিতে এখানে সময় লাগে প্রায় ঘণ্টা খানেক। এমন অবস্থায় যাতায়াতে দুর্ভোগে পড়েছেন নৌযাত্রীরা।
নৌ-চালক ও স্থানীয়রা জানান, নদীতে তাকালে পানির অস্তিত্ব দেখা যায় না। যত দূর দৃষ্টি যাবে শুধু কচুরিপানা। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের মাধ্যমে চেঙ্গী নদীর এই লঞ্চ ঘাট কচুরিপানায় ভরে যাচ্ছে। ফলে ৫ মিনিটের নৌ-পথ পাড়ি দিতে সময় লাগে প্রায় ঘণ্টাখানেক।
বুধবার সদর বাজার এলাকায় সাপ্তাহিক হাট বসে। হাট উপলক্ষে নানিয়ারচর সদর বাজারের লঞ্চঘাট এলাকায় ভিড় জমায় নৌকা ও বোট। প্রতি সপ্তাহে এই হাটের দিনে উপজেলার বিভিন্ন দুর্গম প্রান্ত থেকে সড়ক ও নৌপথে হাটে আসেন ক্রেতা ও বিক্রেতারা। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, চেঙ্গি নদীর ওপর কচুরিপানা বাড়ায় যানজটে ভোগান্তি হচ্ছে জনসাধারণের।
বোট চালক ত্যানালাল চাকমা বলেন, ‘আমার বাড়ি উপজেলার গুইলসাছড়িতে। সেখান থেকে বোট চালিয়ে সদর বাজারে আসতে সময় লাগে মাত্র ৪-৫ মিনিট। অথচ গুইলসাছড়ি ঘাট থেকে সদর বাজারের ঘাট পর্যন্ত কচুরিপানা বেড়ে যাওয়ায় আমার আসতে সময় লেগেছে এক ঘণ্টারও বেশি।’
কচুরিপানা নিরসনের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহরিয়ার মুক্তার উপজেলা চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।