পানছড়ি (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি
খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আগুনে পোড়া বিনোদ কুমার চাকমা (৭০) নামের এক রোগীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বুধবার ভোরে হাসপাতালের এক সেবিকা জানালার রডে তাঁকে ঝুলতে দেখে চিৎকার করেন। পরে খবর দেওয়া হলে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
উপজেলা সদর হাসপাতালের চিকিৎসক শ্যামল মিত্র চাকমা আজকের পত্রিকাকে এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, গত ১৭ নভেম্বর শরীরের ৪০% আগুনে দগ্ধ বিনোদ কুমারকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর কোনো স্বজন না থাকায় পানছড়ি সদর হাসপাতালের সমাজ সেবা ফান্ড থেকে তাঁর চিকিৎসা সেবা চলছিল। তাঁর শারীরিক অবস্থা ভালোর দিকে ছিল। প্রায় ২০% ক্ষত ইতিমধ্যে সেরে গেছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে তাঁকে ওষুধ সেবন করানো হয়। আজ বুধবার ভোর ৬টার দিকে সেবিকা ওষুধ খাওয়াতে গিয়ে তাঁকে জানালায় ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে চিৎকার করেন। পরে অন্যরা বিষয়টি থানায় জানায়।
স্থানীয় লোগাং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জয় কুমার চাকমা বলেন, বিন্দু কুমার চাকমা লোগাং ইউনিয়নের শুকমনিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি কিছুটা মানসিক প্রতিবন্ধী। বাড়িতে একাই বসবাস করতেন। গত ১৬ নভেম্বর বাড়ির পাশের ময়লা আবর্জনায় আগুন দেওয়ার সময় তাতে তিনি দগ্ধ হন। পরে স্থানীয়রা হাসপাতালে ভর্তি করে।
মৃতের চাচাতো ভাই দেবল মনি চাকমা (৬০) বলেন, আজ সকালে ভাইয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে তিনি হাসপাতালে ছুটে আসেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পানছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ তাঁর স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে সে অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।