হোম > সারা দেশ > চট্টগ্রাম

প্রস্তাবের চেয়েও কমছে কক্সবাজার রেলপথের ভাড়া

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

দোহাজারী-কক্সবাজার নতুন রেলপথের ভাড়া অনুমোদন দিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। পূর্বাঞ্চলের বাণিজ্যিক বিভাগ থেকে যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, তা থেকে আরও কমিয়ে ভাড়া চূড়ান্ত করতে বলা হয়।

প্রস্তাবে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের সর্বনিম্ন ভাড়া ৫৫ ও সর্বোচ্চ ৭৪৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়। নতুন ভাড়া নির্ধারিত হলে সিট ভেদে আরও ১০-২০ টাকা কমবে বলে জানা গেছে। সে ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ভাড়া ৪০-৪৫ ও সর্বোচ্চ ৭৩০-৩৫ টাকা নির্ধারিত হতে পারে।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক ও প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা মো. নাজমুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, রেলভবনে কক্সবাজার রুটের ভাড়ার একটি প্রস্তাব দেওয়া হয়। ওই প্রস্তাবে সর্বনিম্ন ভাড়া ৫৫ টাকা ও সর্বোচ্চ ৭৪৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।

পূর্বাঞ্চলের উপ-বাণিজ্যিক কর্মকর্তা তৌষিয়া আহমেদ বলেন, ভাড়ার যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, মন্ত্রণালয় তা থেকে আরও কিছুটা কমানো হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাণিজ্যিক চার্ট দেখে কক্সবাজার রুটের ভাড়া চূড়ান্ত করা হবে। প্রস্তাবের চেয়ে ভাড়া অন-এভারেজ ১০-২০ টাকা কমতে পারে।

প্রস্তাবে ট্রেনের (আন্তনগর শোভন চেয়ার) টিকিটের ভাড়া রাখা হয় ২২০ টাকা। এ ছাড়া চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত সাধারণ দ্বিতীয় শ্রেণির ভাড়া ৫৫ টাকা ও আন্তনগর ট্রেনের প্রথম শ্রেণির সর্বনিম্ন ভাড়া নির্ধারণ করা হয় ৩৩৪ টাকা। প্রথম শ্রেণির সর্বোচ্চ ভাড়া নির্ধারণ করা হয় ৭৪৮ টাকা।

ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত ট্রেনের ভাড়া আগে থেকেই নির্ধারিত। সে হিসাবে ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত আন্তনগর ট্রেনের সর্বনিম্ন ভাড়ার প্রস্তাব রাখা হয়েছিল ৫৬৫ টাকা (শোভন চেয়ার), প্রথম শ্রেণির সর্বনিম্ন ভাড়া ৮৬৩ টাকা (প্রথম চেয়ার/সিট) এবং প্রথম শ্রেণির সর্বোচ্চ ভাড়া ১ হাজার ৯৭৭ টাকা (এসি বার্থ) নির্ধারণ করা হয়।

আগামী ১১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দোহাজারী-কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করবেন। ইতিমধ্যে ট্রায়াল রানও শেষ হয়েছে।

১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার রেললাইন প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন করা হয়। ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার পর্যন্ত মিটারগেজ রেলপথ নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্যে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে রামু পর্যন্ত ৮৮ কিলোমিটার এবং রামু থেকে কক্সবাজার ১২ কিলোমিটার।

শুরুতে প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৮৫২ কোটি টাকা। ২০১৬ সালে প্রকল্প প্রস্তাব সংশোধন করে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। তাতে অর্থায়ন করেছে এশিয়ান ব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকার। এটি সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতাভুক্ত।

চট্টগ্রামে পাহাড়ের জমি থেকে দখলদার উচ্ছেদ

জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প পরিদর্শনে তিন উপদেষ্টা

৩৪ মাস ধরে পরিত্যক্ত ভবনে ইউএনও, রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগ

টেকনাফের পাহাড়ে আবারও বন্য হাতির মৃত্যু

দুর্নীতিবাজ-খুনিদের সংসদ ও রাজনীতিতে অন্তর্ভুক্ত না করার সুপারিশ করা হয়েছে: বদিউল আলম

মাদক কারবারে জড়িত পুলিশের এএসআইসহ ২ জন গ্রেপ্তার

নাফ নদ থেকে পণ্যবাহী ৩ জাহাজ নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি

মেয়র হতে পারায় প্রয়াত উপদেষ্টা হাসান আরিফের প্রতি কৃতজ্ঞ ডা. শাহাদাত

বান্দরবানে ট্রাকচাপায় ৩ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

চকরিয়ায় গৃহবধূ হত্যার ঘটনায় ৫ জনের নামে মামলা, স্বামী গ্রেপ্তার

সেকশন