রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের রাতে মেঘনায় নৌকাডুবিতে নিখোঁজ হন ১০ জন জেলে। এঁদের মধ্যে সাতজন বাড়ি ফিরে এলেও নিখোঁজ হন তিন জেলে। দুর্ঘটনার ৩৮ দিন পেরিয়ে গেলেও আজও সন্ধান মেলেনি তাঁদের। জীবিত কিংবা মৃত একটি নিশ্চিত খবরের আশায় আজও স্বজনেরা ছুটে বেড়াচ্ছেন নানা জায়গায়।
এখনো নিখোঁজ রয়েছেন উপজেলার দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের চরকাছিয়া গ্রামের আবুল কাশেম ব্যাপারীর ছেলে লিটন ব্যাপারী (৩৫), আব্দুর রব ব্যাপারীর ছেলে শিপন ব্যাপারী (২৩) ও রব সরদারের ছেলে সুজন সরদার (২৫)।
অন্যদিকে নিখোঁজ লিটন ব্যাপারীর বাবা আবুল কাশেম ব্যাপারী বাদী হয়ে সম্প্রতি লক্ষ্মীপুর আদালতে মহাজন রাসেল ব্যাপারী (৩৫), তাঁর বড় ভাই জুলহাস ব্যাপারী (৪৫) ও তাঁর বাবা খালেক ব্যাপারীকে (৫৫) আসামি করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পূর্ব বিরোধের জেরে লিটনকে গভীর নদীতে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে।
নিখোঁজ সুজনের স্ত্রী সন্তানসম্ভবা সুবর্ণা আক্তার বলেন, ‘পেডের দায়ে বেশি মাছ পাওনের আশায় আমার বেডায় গাঙগো গিয়া আর আহে নাই। কিন্তুক আমার পেডের পোলাপাইন অইলে হেয় বাপ ছাড়া থাকব কেমতে!’
নৌকার মালিক রাসেল ব্যাপারীর বাবা খালেক ব্যাপারী বলেন, ‘আমরা তিনজনের সন্ধান পেতে সব রকম চেষ্টাই করেছি। এখনো খোঁজ নিতেছি। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।’
রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিপন বড়ুয়া বলেন, ‘জেলে নিখোঁজের ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।’