অতিবৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা ঢলে কুমিল্লার হোমনা ও তিতাস উপজেলার ২৬টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে প্রায় দেড় লাখ মানুষ। হোমনা উপজেলার অন্তত ১০টি এবং তিতাস উপজেলার অন্তত ১৬টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে এসব এলাকার ঘর-বাড়ি, বিদ্যালয়, মসজিদ, ঈদগাহসহ রাস্তা-ঘাট।
শুক্রবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, গত তিন দিন ধরে টানা ভারী বর্ষণ এবং ভারত থেকে তীব্র বেগে নেমে আসা ঢলে হু হু করে গোমতী নদীর পানি বাড়ছে। একপর্যায়ে বুধবার রাত থেকে হোমনা ও তিতাস উপজেলার পাশের বেড়িবাঁধের ভেতরে এবং নদীতীরবর্তী এলাকা কলাকান্দি ইউনিয়নের আফজালকান্দি, উত্তর মানিকনগর, খানাবাড়ী, দক্ষিণ মানিকনগর, ভিটিকান্দি ইউনিয়নের দাসকান্দি, ঘোষকান্দি, হরিপুর, দুলারামপুর, দড়িকান্দি, নারান্দিয়া ইউনিয়নের নারান্দিয়া পশ্চিমপাড়া এবং জিয়ারকান্দি ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামে পানি ঢুকে পড়ে। নদীর পানি বাড়ার ফলে হুমকির মুখে রয়েছে উপজেলার আলীরচর বেড়িবাঁধ। যেকোনো সময় এই অংশের বাঁধও ভেঙে যেতে পারে।
আফজালকান্দি গ্রামের বাসিন্দা হাতেম মাস্টার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের পুরো গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। সবাই বাড়ি ছেড়ে গরু-ছাগল নিয়ে বেড়িবাঁধে চলে এসেছে। বন্যা আগেও দেখেছি, তবে এমন বন্যা কখনো দেখিনি।’
এ বিষয়ে হোমনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ক্ষেমালিকা চাকমা জানান, বৃহস্পতিবার থেকেই হোমনা উপজেলার পার্শ্ববর্তী আলীরচরের বেড়িবাঁধ রক্ষায় উপজেলার স্থানীয়রাসহ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো কাজ করছে। পানিবন্দী মানুষকে সতর্ক থাকার জন্য মাইকিং করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে রয়েছে উপজেলা প্রশাসন। আশ্রয়কেন্দ্র চালু রাখা হয়েছে।’