লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধি
ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর ১৯০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ইলিশের অভয়াশ্রম রক্ষায় আজ বুধবার থেকে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা বন্ধ রয়েছে। এতে বেকার হয়ে পড়েছেন লালমোহন উপজেলার ১৯টি পয়েন্টের প্রায় ৪০ হাজার জেলে।
আজ বুধবার থেকে আগামী ৩০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাত ১২টা পর্যন্ত দুই মাসের জন্য এ দুই নদীতে মাছ ধরা বন্ধ থাকবে। লালমোহন উপজেলার মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১৯টি পয়েন্টে নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ২৩ হাজার ১৭৮। তবে এর প্রকৃত সংখ্যা আরও অধিক। এর মধ্যে ধলীগৌরনগর ও লর্ড হার্ডিঞ্জ ইউনিয়নে সবেচেয়ে বেশি জেলের বাস। নিষেধাজ্ঞাকালীন নিবন্ধিত ১০ জাহার ৫০০ জেলেকে জনপ্রতি মাসে ৪০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে।
উপজেলার কয়েকজন জেলের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নিষেধাজ্ঞার কারণে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন লালমোহন উপজেলার ১৯টি পয়েন্টের ২০ হাজারের অধিক জেলে। মাছ ধরার ওপর নির্ভরশীল এসব জেলে নদীতে যেতে না পারায় চরম সংকটে পড়েছেন। মাছ ধরা ছাড়া অন্য কোনো কাজ জানা না থাকায় বিকল্প কর্মসংস্থানেও যেতে পারছেন না জেলেরা। এতে অভাব-অনটন আর অনিশ্চয়তায় দিন কাটছে তাঁদের।
লালমোহন উপজেলার তেঁতুলিয়া নদীপাড়ের গজারিয়া খালগরা মৎস্য ঘাটের জেলে সালাউদ্দিন মাঝি ও বেলায়েত মাঝি বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার কারণে তেঁতুলিয়া নদীতে মাছ ধরা বন্ধ হয়ে গেছে। আমরা এখন কীভাবে দিন কাটাব? গত মৌসুমে তেমন মাছ ধরতে পাড়িনি। কিছুদিন হলো পোয়া মাছ পড়ছে। এখন মাছ ধরা বন্ধ, তাই আবার সংকটের মধ্যে পড়তে হলো আমাদের।’
উপজেলার বাত্তিরখাল মাছঘাটের জেলে মনির মাঝি বলেন, ছয় সদস্যের পরিবার। প্রতিদিন দুই কেজি করে চাল লাগে, সঙ্গে অন্য খরচা তো আছেই। সরকারের বরাদ্দকৃত চাল যেন দ্রুত দেওয়া হয়, সেই দাবি জানাই।
এ ব্যাপারে লালমোহন উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা মো. রুহুল কদ্দুস বলেন, ‘লালমোহন উপজেলার ১৯টি পয়েন্টে জেলেদের নিয়ে মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদীর ইলিশ রক্ষায় সচেতনতা সভা করেছি। যাতে জেলেরা মাছ শিকারে না যায়। তার পরেও যারা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ শিকারের চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।