২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থান কোরআন–সুন্নাহর আলোকে: জামায়াত নেতা মজিবুর

চাঁদপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০: ৩৮
চাঁদপুরে জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে নায়েবে আমির মজিবুর রহমান। ছবি: আজকের পত্রিকা

জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক মজিবুর রহমান বলেছেন, ‘ঐক্য হচ্ছে শক্তি। সকল মুসলমান ভাইদের সঙ্গে ঐক্য করতে হবে। যারা ইসলামি শাসন ব্যবস্থা কায়েম করতে চায়, যারা রাসুল (সা.) তরিকায় চলতে চায়, তাদের সঙ্গে আমরা ঐক্য করতে চাই। ২০২৪ সালের আগস্টের গণ-অভ্যুত্থান কোরআন–সুন্নাহ আলোকে হয়েছে।’

আজ শনিবার চাঁদপুর শহরের পুরোনো বাসস্ট্যান্ডে সদর উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অধ্যাপক মজিবুর রহমান বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট সরকার ভোট দিতেও দেয়নি সাধারণ জনগণকে। কথায় আছে, আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব। কিন্তু তাদের কথা হচ্ছে, আমার ভোট আমি এবং অপরের ভোটও আমি দেব। মানুষের ভোট দেওয়ার উৎসাহও নষ্ট করে দিয়েছিল। তারা জনগণকে ভোট দিতে যেতে দেয়নি। গোটা গণতন্ত্রকে কলঙ্কিত করেছে এই ফ্যাসিস্ট সরকার।’

তিনি বলেন, ‘১৭ বছর ফ্যাসিস্ট সরকারের কারণে বাংলাদেশের মানুষ সবকিছু থেকে বঞ্চিত ছিল। তারা ভেবেছিল, ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবেন। কিন্তু অপমানিত অবস্থায় ফ্যাসিস্ট সরকার পালিয়ে গেছে। মানুষ এখন শান্তিতে আছে। এক সময় মানুষ কান্নাও করতে পারতে না।’

নায়েবে আমির বলেন, ‘১৯৭১ সালে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিল। তখনো বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন, ভোটের এবং ভাতের অধিকারের আন্দোলন হয়েছিল। ৭১ সালে স্বাধীন হওয়ার পর বলেছিল, বৈষম্য দূর করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবে। কিন্তু কি হলো শেষ পর্যন্ত! বৈষম্যতো দূর হয় নায়, গণতন্ত্রকেও হত্যা করা হয়েছিল। যারা শুধু নিতেই জানে, তারাতো বন্ধু হতে পারে না। ভারতের গোলামি করতে করতে দেশকে শেষ করে দিয়েছে। এখনো তারা জনগণের ভাষাই বুঝতে পারে না।’

চাঁদপুরে জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে নায়েবে আমির মজিবুর রহমান। ছবি: আজকের পত্রিকা

জামায়াত নেতা আরও বলেন, ‘দেশে ভালো কাজ চালু করে মানুষকে শান্তি দিতে হলে–খারাপ কাজ বন্ধ করে মানুষকে নিরাপত্তা দিতে হলে, শুধু দোয়া মাহফিলের আয়োজন করলে চলবে না। বরং আল্লাহর দল তৈরি করেই এগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে।’

সদর উপজেলা জামায়াত নেতা মাওলানা আফছার উদ্দিন মিয়াজীর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন–জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা বিল্লাল হোসেন মিয়াজী, সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট শাহজাহান মিয়া, সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক মাওলানা আবুল হোসাইন, শহর জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট শাহজাহান খান, সেক্রেটারি শেখ বেলায়েত হোসেন, ছাত্রশিবির শহর শাখার সভাপতি মো. ফারুক হোসেন। সঞ্চালনা করেন সেক্রেটারি মুহাম্মদ জোবাইর হোসাইন খান।