নোয়াখালীর আট উপজেলা ও সাত পৌরসভার বন্যা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে। ধীরগতিতে পানি নামায় দীর্ঘ হচ্ছে বন্যার সময়কাল। ফলে ভোগান্তি বাড়ছে মানুষের। খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট রয়েছে। এদিকে গতকাল সোমবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত থেমে থেমে কয়েক দফা বৃষ্টিতে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে বন্যাকবলিত এলাকার মানুষ।
সোমবার সকাল ৯টা থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টা পর্যন্ত জেলায় বৃষ্টি হয়েছে প্রায় ২৫ মিলিমিটার। ফলে কিছু এলাকায় সামান্য পানি বেড়েছে। তবে মঙ্গলবার ভোর থেকে জেলায় রৌদ্রোজ্জ্বল পরিবেশ রয়েছে।
জেলা প্রশাসকের তথ্যমতে, জেলার আশ্রয়কেন্দ্রগুলো থেকে প্রায় ১ লাখ মানুষ বাড়ি ফিরে গেছে। এখনো ১ হাজার ৬৩টি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ২ লাখ মানুষ রয়েছে। বন্যাকবলিত নিচু এলাকায় এখনো পানিবন্দী ১৭ লাখ ৮৭ হাজার ৩০০ জন। বন্যায় মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। বন্যাকবলিতদের সহায়তায় ৩০ লাখ নগদ অর্থ ও ৮১ মেট্রিকটন চাল মজুত আছে। তবে শুকনো খাবার, শিশুখাদ্য ও গোখাদ্যের কোনো মজুত নেই।
বন্যা কমিটি এলাকার লোকজন জানান, গত কয়েক দিনে জেলার কাঁচা-পাকা বিভিন্ন উঁচু সড়ক থেকে পানি নেমে গেছে। পানি নামার পরপরই সড়কগুলোতে ক্ষতের চিহ্ন দেখা যাচ্ছে। কোথাও সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের। কাঁচা সড়কগুলো থেকে মাটি নেমে যাওয়ায় সেগুলো কয়েক ফুট নিচের দিকে নেমে গেছে। এ ছাড়া কাঁচা ঘরগুলোর নিচ থেকে পড়ে গেছে মাটি, ফলে যেকোনো মুহূর্তে এগুলো ভেঙে পড়ার শঙ্কা রয়েছে।
এদিকে জেলায় বেড়েছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, বন্যাকবলিত আটটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৪৭০ জন ডায়রিয়া রোগী। সাপে কাটা রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে ৯ জন।