লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে স্ত্রীর দ্বিতীয় বিয়ের খবর শুনে স্ত্রী ও শ্বশুরকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে জাকির হোসেন সুমন নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এ সময় শাশুড়িকে কোপানো হয়। গতকাল বুধবার সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। তারপর থেকে পলাতক রয়েছে জাকির হোসেন সুমন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. হাসান মোস্তফা স্বপন বলেন, দ্বিতীয় বিয়ের খবর শুনে স্ত্রী ও শ্বশুরকে কুপিয়ে হত্যা করেন জাকির হোসেন সুমন। অভিযুক্তকে ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে। এ ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কি না ,তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দালালবাজার এলাকার জয়নাল আবেদিনের ছেলে জাকির হোসেন সুমনের সঙ্গে রামগতি উপজেলার চরবাদামের চরকলাকোপা এলাকার বাদশা মিয়ার মেয়ে রাশেদা আক্তারের চার বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তাদের সংসারে পারিবারিক বিরোধ লেগে ছিল। যৌতুকের টাকার জন্য রাশেদা আক্তারের ওপর জাকির হোসেন সুমন নির্যাতন চালাতেন বলেও দাবি করেন তাঁর পরিবারের লোকেরা। একপর্যায়ে রাশেদাকে বাড়িতে নিয়ে আসেন তাঁর বাবা-মা। ২০ দিন আগে গোপনে রাশেদা আক্তারকে অন্যত্র বিয়ে দেয় তাঁর পরিবার।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে আরও জানা যায়, অনেক দিন পার হয়ে গেলেও স্ত্রী রাশেদা ফিরে না আসায় বুধবার সন্ধ্যায় শ্বশুরবাড়ি যান জাকির হোসেন সুমন। তখন স্ত্রীর দ্বিতীয় বিয়ের কথা জানতে পেরে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন তিনি। এসব নিয়ে বাগ্বিতণ্ডা শুরু করেন জাকির। একপর্যায়ে স্ত্রী রাশেদাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপাতে থাকেন। এ সময় রাশেদার বাবা বাদশা মিয়া ও মা আঙ্কুরি বাধা দিতে এলে তাঁদেরও এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যান। ঘটনাস্থলেই স্ত্রী রাশেদা আক্তার ও তাঁর বাবা বাদশা মিয়া মারা যান। আহত অবস্থা আঙ্কুরিকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, লাশ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। সুমনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।