ছাগলনাইয়া (ফেনী) প্রতিনিধি
ফেনীর ছাগলনাইয়ায় মাদক কারবারের প্রতিবাদ করায় গত শনিবার এক শিক্ষিকা ও তাঁর স্বামী-সন্তানকে ছুরিকাঘাতে আহত করার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় ওয়ার্ড ছাত্রলীগের পদ থেকে রিফাজ উদ্দিন তাসিবকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
গতকাল রোববার রাতে ছাগলনাইয়া পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি গালিব হোসেন রাফি ও সাধারণ সম্পাদক সাদমান মুফতাশির ফাহিদের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে অব্যাহতির বিষয়টি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে রিফাজ উদ্দিন তাসিবকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ছাগলনাইয়া পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
গত শনিবার বিকেলে ছাগলনাইয়া থানা ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে ছাগলনাইয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ শিক্ষিকা শামীমা আক্তার (৪৭), তাঁর স্বামী ব্যবসায়ী এ কে এম ফরিদুল আলম (৫২) ও তাঁদের ছেলে এ কে এম আইনুল আলমকে (২২) ছুরিকাঘাত করা হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ফরিদুলকে ঢাকায় নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ওই ঘটনায় শামীমা বাদী হয়ে ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি মো. ফয়সাল ও তাঁর ছোট ভাই অব্যাহতি পাওয়া ছাত্রলীগ নেতা তাসিবসহ চারজনের নামসহ অজ্ঞাত দু-তিনজনের বিরুদ্ধে ছাগলনাইয়া থানায় মামলা করেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ফয়সাল ও তাঁর মা রাবেয়া বেগমকে গ্রেপ্তার করে।
মামলা থেকে জানা গেছে, পশ্চিম ছাগলনাইয়া গ্রামের ফয়সাল ও তাসিবের নেতৃত্বে একটি গ্রুপ অনেক দিন ধরে থানাপাড়া ও আশপাশের এলাকায় মাদক সেবন, ব্যবসা ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। বিভিন্ন সময় শামীমা এসবের প্রতিবাদ করায় ক্ষুব্ধ হয়ে শনিবার বিকেলে তাঁর ছেলে আইনুলের ওপর হামলা চালানো হয়। তাঁকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে শামীমা ও ফরিদুলকেও ছুরিকাঘাত করা হয়।
ছাগলনাইয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুদ্বীপ রায় বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ফয়সালসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’