বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির চাকঢালা সীমান্তে বানর তাড়াতে গিয়ে স্থলমাইন বিস্ফোরণে এক বাংলাদেশির পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আজ শনিবার বেলা ১টার দিকে সদর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী ৪৪ নম্বর পিলার এলাকার শূন্যরেখায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তির নাম আবদুস সালাম (৪৭)। তিনি উপজেলার সদর ইউনিয়নের চেরারমাঠ গ্রামের ছিদ্দিক মিস্ত্রির ছেলে। এ নিয়ে গত দুই মাসে এ সীমান্তে ছয়জন বাংলাদেশি পা হারিয়েছেন।
আবদুস সালাম সীমান্ত এলাকায় কলার চাষ করেছেন। প্রতিনিয়ত মিয়ানমার থেকে শূন্যরেখা পার হয়ে বন্য বানর তাঁর বাগানের কলা, শসাসহ বেশ কয়েক ধরনের ফল খেতে আসে।
আবদুস সালামের স্বজনেরা জানান, কলাবাগানে বানরের উপদ্রব ঠেকাতে শনিবার সেহরি খেয়েই বাগানে যান সালাম। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিনি দেখেন যে মিয়ানমার থেকে একদল বানর শূন্যরেখা পার হয়ে এসে তাঁর বাগানের কলা খেতে শুরু করেছে। তখন তিনি বানর তাড়িয়ে রূপরেখায় নিয়ে গেলে হঠাৎ বিকট শব্দে একটি স্থলমাইন বিস্ফোরিত হয়। এতে তার ডান পায়ের গোড়ালি উড়ে যায়। শব্দ শুনে লোকজন এসে তাঁকে প্রথমে নাইক্ষ্যংছড়ি এবং পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ওসি মো. মাসরুল হক বলেন, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। খোঁজখবর নিচ্ছেন।
নাইক্ষ্যংছড়ির ইউএনও মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ঘটনাটি শোনার পর বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সীমান্তে মিয়ানমারের আরকান প্রদেশের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরকান আর্মি স্থলমাইন পুঁতে রেখেছে। তারা জান্তা বাহিনীর পিছু হটিয়ে সীমান্ত পোস্টগুলো নিয়ন্ত্রণে নিলেও অপর বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরসা ও আরএসওর আতঙ্কে মাইন পুঁতে রাখে বলে সীমান্ত সূত্রে জানা যায়।