হোম > সারা দেশ > চট্টগ্রাম

পুলিশ হেফাজতে বডিবিল্ডারের মৃত্যু: দায়ী কেউ ছাড় পাবে না, আইজিপির আশ্বাস

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

রাজধানীর বংশাল থানায় পুলিশের হেফাজতে একজন বডি বিল্ডারের মৃত্যু প্রসঙ্গে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ‘পুলিশের হেফাজতে যে মৃত্যুগুলো হয়ে থাকে, এটার একটা প্রটোকল আছে। সেটা আমরা অনুসরণ করি। কাউকে ছাড় দেওয়ার কোনো নীতি আমরা অবলম্বন করি না। যে-ই দায়ী থাকবে, তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

আজ রোববার সকালে নগরের কর্ণফুলী থানা এলাকার ডাঙ্গার চর নৌ তদন্তকেন্দ্র উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। 

আইজিপি বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা সংঘটিত হলে একজন বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে লাশের সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত করা হয়ে থাকে। ডাক্তারের মতামত, তদন্ত, ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে যে তথ্য বেরিয়ে আসে, সেই প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আমরা ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। এখান থেকে বিচ্যুতি হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’ 

পুলিশ প্রধান বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশ একটি সুশৃঙ্খল বাহিনী। সরকারি যে বিধিবিধান রয়েছে, তার যথাযথ প্রয়োগের মধ্য দিয়ে আমরা এই বাহিনীর শৃঙ্খলা বজায় রাখছি। আমাদের সদস্যরা নিজেদের দায়িত্ব সুশৃঙ্খল পেশাদারত্বের সঙ্গে যথাযথভাবে পালন করছে। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পূর্ণরূপে আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’ 

তিনি বলেন, ‘পেশাদারত্বের দিক থেকে আমরা এক ঈর্ষণীয় পর্যায়ে অবস্থান করছি। বর্তমানে প্রযুক্তির উৎকর্ষের সঙ্গে সঙ্গে যে চাহিদা তৈরি হচ্ছে, এই বাহিনীর পেশাদারত্বের জ্ঞান বৃদ্ধি ও উন্নতির জন্য সরকার আমাদের প্রতিনিয়ত সহযোগিতা করে যাচ্ছে। আমরা আমাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রণে রেখেছি।’ 
 
মিয়ানমার সীমান্তে পরিস্থিতির বিষয়ে আইজিপি বলেন, ‘বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে বিজিবি কাজ করছে। বিজিবির সঙ্গে সমন্বয় করে পুলিশও কাজ করছে। বিজিবি আমাদের কাছে সহযোগিতা চাইলে, আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করতে বাধ্য।’ 

নৌ-তদন্ত কেন্দ্রের বিষয়ে পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ‘চট্টগ্রাম একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। এখানে বন্দর আছে। সে জন্য বন্দর থানার পাশাপাশি বন্দর ডিভিশন আছে। শুধু বন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে তা নয়, বন্দর এলাকার নিরাপত্তার জন্য সিএমপির সঙ্গে এই ইউনিটের (নৌ পুলিশ) সমন্বয় থাকা দরকার। আমি মনে করি, নদীর নিরাপত্তার জন্য এই নৌ-তদন্ত কেন্দ্র ও নৌ-পুলিশ ফলপ্রসূভাবে কাজ করবে।’ 

এ সময় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরে আলম মিনা ও অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) এ এস এম মাহাতাব উদ্দিন, উপকমিশনার এস এম মোস্তাইন হোসেন, উপকমিশনার (বন্দর) শাকিলা সোলতানা, উপকমিশনার (ডিবি-বন্দর ও পশ্চিম) প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

নৌ পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালে নৌ পুলিশ প্রতিষ্ঠার পর বন্দর কর্তৃপক্ষ একটি তদন্তকেন্দ্র প্রতিষ্ঠার জন্য ডাঙ্গারচরে নদীর কাছে জায়গা বরাদ্দ দেয়। সেখানে দোতলা ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। কর্ণফুলী শাহ আমানত সেতু থেকে কর্ণফুলী নদীর মোহনা পর্যন্ত এলাকায় দস্যুতা, চুরিসহ বিভিন্ন অপরাধ দমনে কাজ করবে সিএমপি। নৌ তদন্তকেন্দ্র তাঁদের আওতায় থাকা এলাকায় টহলসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

চট্টগ্রামে পাহাড়ের জমি থেকে দখলদার উচ্ছেদ

জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প পরিদর্শনে তিন উপদেষ্টা

৩৪ মাস ধরে পরিত্যক্ত ভবনে ইউএনও, রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগ

টেকনাফের পাহাড়ে আবারও বন্য হাতির মৃত্যু

দুর্নীতিবাজ-খুনিদের সংসদ ও রাজনীতিতে অন্তর্ভুক্ত না করার সুপারিশ করা হয়েছে: বদিউল আলম

মাদক কারবারে জড়িত পুলিশের এএসআইসহ ২ জন গ্রেপ্তার

নাফ নদ থেকে পণ্যবাহী ৩ জাহাজ নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি

মেয়র হতে পারায় প্রয়াত উপদেষ্টা হাসান আরিফের প্রতি কৃতজ্ঞ ডা. শাহাদাত

বান্দরবানে ট্রাকচাপায় ৩ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

চকরিয়ায় গৃহবধূ হত্যার ঘটনায় ৫ জনের নামে মামলা, স্বামী গ্রেপ্তার

সেকশন