বান্দরবানে থানচি উপজেলায় আকাশে মেঘ হলেই বিদ্যুৎ চলে যায়। তবে বিলের পরিমাণ একটুও কমায়নি। এতে হাজারো গ্রাহকের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। গতকাল শুক্রবার রাত ১০টার দিকে বিদ্যুৎ চলে যায়। আজ শনিবার দুপুর ২টা পর্যন্তও বিদ্যুৎ আসেনি।
জানা গেছে, বিদ্যুৎ না থাকায় থানচি ও বলিপাড়া বাজারে দুইটি এবং এর আশপাশে অর্ধশতাধিক পাহাড়ি গ্রামের পৌনে এক হাজার গ্রাহকের ফ্রিজের থাকায় মাছ, মাংস, তরী তরকারী পচে ফেলে দিতে হচ্ছে। হাসপাতালে টিকা ও জরুরি প্রয়োজনীয় ওষুধও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, থানচি পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর নির্দেশে ২০১৬-১৭ সালে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনসহ সংযোগ ও সরবরাহ করেন। ২০১৭ থেকে প্রায় ৮০০ গ্রাহক নিয়মিত বিল পরিশোধ করে আসছেন। মাঝে মাঝে ভুতুড়ে বিল আসলে অভিযোগ ছাড়াই পরিশোধ করেন সকলে।
থানচি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূর মোহাম্মদ বলেন, উপজেলা বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানকে কোনো সময় ১০ হাজার, ২০ হাজার বিল পরিশোধ করতে হয়েছে। বর্তমানে বেশির ভাগ কার্যক্রমই ডিজিটালাইজড পদ্ধতিতে সম্পন্ন করতে হয়। সে জন্য বিদ্যুতের প্রয়োজন অপরিহার্য। প্রয়োজনের সময় বিদ্যুৎ না পাওয়া নিয়ে আমাদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) লাইনম্যান দিলীপ কুমার নাথ বলেন, বরাদ্দকৃত বিদ্যুতের পরিমাণ ৪-৫ মেগাওয়াট। অপরদিকে উপজেলায় চাহিদা ১০ মেগাওয়াট। এ ছাড়া দোহাজারী থেকে বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইন টানা হয়েছে। সেখানকার সংযোগ তারগুলো পুরোনো হওয়ায় জেলার ১২ মাইলসহ বিভিন্ন পয়েন্টে বাতাসের তীব্রতায় সহজেই ছিঁড়ে যায়।
লোকবল সংকটসহ নানামুখী সমস্যার কথা তুলে ধরে লাইনম্যান আরও বলেন, ‘সত্যি বলতে এখানে আমি একলা লাইনম্যান, ড্রাইভার, মিটার রিডারের কাজ করেন। এমন অবস্থা সত্ত্বেও বিদ্যুতের কাজে স্থানীয় পারদর্শী ছেলেদের নিয়ে সংযোগ চালু রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করছি।’
এ বিষয়ে জানতে পিডিবির থানচি উপজেলার উপসহকারী প্রকৌশলী ন্যাপচুন খীসার সঙ্গে যোগাযোগে চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তিনি দীর্ঘদিন ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় এবং কল না ধরায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।