কক্সবাজারে ঘুরতে গিয়ে এক নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী সেই নারী অভিযোগ করেছেন, ৯৯৯-এ ফোন দিয়েও কোনো সহায়তা পাননি তিনি। পরে তিনি র্যাবকে ঘটনার বিস্তারিত জানান। তাঁর দাবি, স্বামী ও আট মাসের সন্তানকে জিম্মি করে তাঁকে ধর্ষণ করে তিন যুবক। দুই দফা ধর্ষণ শেষে ওই নারীকে হুমকি দিয়ে একটি গেস্ট হাউজের কক্ষে আটকে রেখে ফেলে যায় তারা।
র্যাবকে ওই নারী জানান, এক যুবকের সহায়তায় গেস্ট হাউজের ওই কক্ষ থেকে বের হয়ে পুলিশের সহায়তার জন্য তিনি ৯৯৯-এ ফোন দেন। তখন পুলিশ তাঁকে থানায় সাধারণ ডায়েরি করার পরামর্শ দেয়। তবে পুলিশের এই কথায় ভরসা পাননি তিনি। এরপর তিনি ফোন দেন র্যাবকে। পরে র্যাবের সহায়তায় উদ্ধার পান নারী ও তাঁর স্বামী-সন্তান।
৯৯৯-এ ফোন দিয়ে পুলিশের সহায়তা না পাওয়ার ঘটনায় কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি শেখ মনিরুল গিয়াস বলেন, ‘এই অভিযোগ সত্য নয়। এই দেশটা আমাদের, কক্সবাজার আমাদের, সারা বিশ্বের। এখানে কোনো অপরাধ সংঘটিত হতে দেব না।’ তিনি বলেন, এ ঘটনায় পুলিশের তদন্ত চলছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
এর আগে ধর্ষণের ঘটনার খবর পেয়ে কলাতলীর জিয়া গেস্ট ইন থেকে বুধবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ওই নারীকে উদ্ধার করে কক্সবাজার র্যাব-১৫।
র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে দুজনের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। অভিযান চলছে।
কক্সবাজার র্যাব-১৫-এর লে. কর্নেল খায়রুল ইসলাম সরকার বলেন, বিষয়টি নিয়ে অধিকতর তদন্ত চলছে। মামলার বিষয়টিও প্রক্রিয়াধীন।
ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে স্বামী-সন্তানসহ ওই নারী বুধবার সকালে কক্সবাজারে বেড়াতে আসেন। তাঁরা শহরের হলিডে মোড়ের একটি আবাসিক হোটেলে ওঠেন। বিকেলে সপরিবারে সৈকতের লাবণী পয়েন্টে ঘুরতে বের হন। এ সময় এক যুবকের সঙ্গে ওই নারীর স্বামীর ধাক্কা লাগলে কথা-কাটাকাটি হয়। এর জেরে সন্ধ্যার পর পর্যটন গলফ মাঠের সামনে থেকে তাঁর আট মাসের সন্তান ও স্বামীকে সিএনজি অটোরিকশায় করে কয়েকজন তুলে নিয়ে যায়। এ সময় আরেকটি সিএনজি অটোরিকশায় তাঁকে তুলে নেয় তিন যুবক। পর্যটন গলফ মাঠের পেছনে একটি ঝুপড়ি চায়ের দোকানের পেছনে নিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করে তিনজন।
এরপর তাঁকে নেওয়া হয় জিয়া গেস্ট ইন নামে একটি হোটেলে। সেখানে ইয়াবা সেবনের পর আরেক দফা তাঁকে ধর্ষণ করে ওই তিন যুবক। এ ঘটনা কাউকে না জানানোর জন্য শাসিয়ে যায় ধর্ষকেরা। তারা ওই নারীর সন্তান ও স্বামীকে হত্যা করার হুমকিও দেয়।