চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে যুবলীগ নেতা আনোয়ার হোসেন সুমন ওরফে গাবলা সুমনকে (৩৫) গ্রেপ্তার করে থানায় হস্তান্তর করেছে যৌথ বাহিনী। আজ বুধবার ভোরে উপজেলার আলকরা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। সুমনের বিরুদ্ধে অস্ত্র, ডাকাতি ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে চৌদ্দগ্রাম ও ফেনী থানায় ১০ মামলা রয়েছে।
সুমন চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের দক্ষিণ কাইচ্ছুটি গ্রামের আবুল হাসেম ভূঁইয়ার ছেলে। তিনি চৌদ্দগ্রাম উপজেলা যুবলীগের সাবেক সদস্য। তাঁকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিলাল উদ্দিন আহমেদ।
থানা ও সেনাক্যাম্প সূত্রে জানা গেছে, আজ বুধবার ভোরে চৌদ্দগ্রাম সেনাক্যাম্পের একটি টহল দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে মাদকাসক্ত অবস্থায় সুমনকে নিজের গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে। তাঁর বিরুদ্ধে অস্ত্র, ডাকাতি ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে চৌদ্দগ্রাম থানায় পাঁচটি এবং ফেনী থানায় পাঁচটি মামলা রয়েছে।
থানা ও সেনাক্যাম্প সূত্রে আরও জানা গেছে, সেনাবাহিনীর সদস্যরা সুমনের মোবাইল ফোন চেক করে পলাতক স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) ও সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হকের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগের প্রমাণ পেয়েছেন। ভারতীয় মাদক পাচারকারীদের সঙ্গে সুমনের সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে এবং সশস্ত্র ব্যক্তিদের ছবি তাঁর মোবাইল ফোনে পাওয়া গেছে। সুমনের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালে দায়ের করা একটি মাদক মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি থাকলেও তিনি সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হকের ঘনিষ্ঠজন হওয়ায় ওই সময় গ্রেপ্তার এড়াতে সক্ষম হন।
এলাকার লোকজন জানান, যুবলীগ নেতা সুমন এলাকায় চিহ্নিত অস্ত্রবাজ, মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত। ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের পর তিনি এলাকা থেকে গা-ঢাকা দিয়ে চললেও নাশকতা ও অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির লক্ষ্যে সম্প্রতি আবারও এলাকায় অবস্থান করেন।
ওসি হিলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, সেনাবাহিনী সুমনকে আটক করে থানায় হস্তান্তর করেছে। তাঁর বিরুদ্ধে থাকা মামলাগুলো যাচাই করা হচ্ছে। পুরোনো মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকায় তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।