দেবিদ্বার (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ। রোববার নির্বাচনের আগের রাতে মারা গেলেন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মো. নুরুজ্জামান ভূঁইয়া মুকুল। রাত সাড়ে ৯টার দিকে কুমিল্লা নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। ফলে ভোটগ্রহণ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। আপাতত চেয়ারম্যান পদে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। মুকুলের মৃত্যু নিয়েও নানা বক্তব্য পাওয়া যাচ্ছে।
নুরুজ্জামান মুকুল ভানী ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের মৃত সুরুজ মিয়ার ছেলে এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান।
মুকুলের ভাই কামরুল ইসলাম বলেন, ‘রোববার সন্ধ্যায় নোয়াগাঁও প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে স্বতন্ত্র প্রার্থী হাজি জালাল উদ্দিন (মোটরবাইক) ও তাঁর লোকজন একত্রিত হয়। এ সময় হাজি জালালের ভাগনে চান্দিনা উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি কাইয়ুমকে দেখে বহিরাগত হিসেবে মুকুল প্রতিবাদ জানান। এ সময় তাঁদের উভয়ের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে কাইয়ুম মুকুলের বুকে লাথি মারলে সঙ্গে সঙ্গে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে তাঁকে উদ্ধার করে কুমিল্লার একটি বেসরকারি হাসপাতালে আনার হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’
এদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হাজি জালাল উদ্দিন মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘দুজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়েছে। তবে লাথি মারার বিষয়টি সত্য নয়। সে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে।’ পুলিশ তাঁর ভাগনে কাইয়ুমকে আটক করে থানায় নিয়ে গেছে বলেও জানান তিনি।
এখন ভোটগ্রহণ বিষয়ে জানতে চাইলে কুমিল্লা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মঞ্জুরুল আলম বলেন, ‘যদি স্বাভাবিক মৃত্যু হয়ে থাকে তাহলে শুধু চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন স্থগিত থাকবে। আর যদি সহিংস ঘটনায় তাঁর প্রাণহানি হয়ে থাকে তাহলে ওই ইউনিয়নের পুরো নির্বাচন স্থগিত থাকবে।’
এ বিষয়ে দেবিদ্বার থানার ওসি আরিফুর রহমান বলেন, ‘কীভাবে মৃত্যু হয়েছে বিষয়টি এখনো আমরা নিশ্চিত হতে পারিনি। এ বিষয়ে চিকিৎসক এবং নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলাপ করা হচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে কাইয়ুম নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’