নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরকান আর্মিকে লক্ষ্য করে রেকর্ড সংখ্যক মর্টারশেল নিক্ষেপ করেছে মিয়ানমার বাহিনী। আজ বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৮টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত ২৩টি মর্টারশেল নিক্ষেপ করা হয়েছে।
তুমব্রু সীমান্তের শূন্যরেখা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাসকারী আবদুল মাজেদ জানান, গুলিগুলো তাঁদের ছাউনির ওপর দিয়ে যায়। এতে এখানকার লোকজন ছোটাছুটি করতে থাকেন। কারণ গত অক্টোবর মাসের ১৬ তারিখ একটি মর্টালশেল তাঁদের ক্যাম্পে পড়ে এবং একজন নিহত হন। এ সময় আরও সাতজন আহত হয়েছেন। যারা এখন চিকিৎসাধীন। এ ছাড়া আরও কয়েকটি মর্টারশেল বাংলাদেশ সীমানার অভ্যন্তরে পড়েছে।
২৭১ নম্বর তুমব্রু মৌজা হেডম্যান ক্য হ্লা থোয়াই তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, ‘আজ সকাল পৌনে ৮টা থেকে একটু পরপর তিনটি মর্টারশেলের আওয়াজ শুনেছেন তিনি। পরে আমি জরুরি কাজে ঘুমধুম চলে যাই।’
তুমব্রু বাজারের ব্যবসায়ী আবদুল কাদের বলেন, আজ সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ২৩ টির বেশি মর্টারশেল নিক্ষেপ করে মিয়ানমার বাহিনী। নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তঘেঁষা মিয়ানমারের তুমব্রু রাইট ক্যাম্প থেকে এসব মর্টারশেল নিক্ষেপ করা হয়।
বাজারের একাধিক ব্যবসায়ী জানান, আজ সকাল থেকে ২৩ টির অধিক মর্টারশেলের আওয়াজ শুনে এলাকায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। অনেকে দোকান বন্ধ করে বাড়িতে চলে গেছেন। আবার অনেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন।
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গির আজিজ বলেন, গত রোববার পতাকা বৈঠক শেষ হল। পরে সপ্তাহের রোববার আসার আগেই সীমান্ত থেকে মর্টারশেলের আওয়াজ আসছে। যা দুঃখজনক। এতে মানুষজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে তুমব্রু সীমান্তের দায়িত্বরত বিজিবি অধিনায়কসহ দায়িত্বশীলদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কারও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
সীমান্তের চাকঢালা-ফুলতলি-পাইনছড়ি পয়েন্টে দায়িত্বরত ১১ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘আমার দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় গত কয়েক দিন আগে গোলাগুলির শব্দ পাওয়া গেলেও এখন নেই। তবুও দায়িত্বপূর্ণ পুরো এলাকায় বিজিবি টহল জোরদার করা হয়েছে। নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত সোমবার নাইক্ষ্যংছড়ির সীমান্তের ৩৪ পিলার দিয়ে ৫টি মর্টারশেলের বিকট আওয়াজে ঘুমধুমের তুমব্রু বাজারসহ পুরো এলাকা।