বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার সময় কক্সবাজারের সেন্ট মার্টিন দ্বীপের অদূরে বাংলাদেশি ফিশিং ট্রলারকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়েছে মিয়ানমারের নৌবাহিনী। এতে একজন জেলে নিহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আরও দুই জেলে। এ ছাড়া ৪৭ জন মাঝিমাল্লাসহ পাঁচটি ফিশিং ট্রলার নিজেদের জিম্মায় রেখেছে তারা।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ২টা ৩০ মিনিটের দিকে কোস্ট গার্ডের তত্ত্বাবধানে একটি নৌকা মোট ১১ জন জেলেকে নিয়ে শাহপরীর দ্বীপ জেটিতে অবতরণ করে। তাঁদের মধ্যে একজন নিহত এবং দুজন গুলিবিদ্ধ জেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী।
এর আগে গতকাল বুধবার দুপুরের দিকে সেন্ট মার্টিন দ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিমের মৌলভীরশীল বঙ্গোপসাগরের মোহনায় এ ঘটনা ঘটে।
এই ট্রলারে আরও দুজন জেলে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন। তবে তাঁদের নাম–পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
একই এলাকা থেকে শাহপরীর দ্বীপের মিস্ত্রিপাড়ার মতিউর রহমান, আবদুল্লাহ, তাঁর ভাই আতা উল্লাহ ও মো. আছেমের মালিকানাধীন পাঁচটি ট্রলার ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমার নৌবাহিনী। এসব ট্রলারে ৬০ জন মাঝিমাল্লা রয়েছেন।
ট্রলারমালিক সাইফুল ইসলাম জানান, সাগরে মাছ ধরার সময় হঠাৎ মিয়ানমারের নৌবাহিনী ধাওয়া করে গুলিবর্ষণ করে। এরপর ছয়টি ট্রলারসহ মাঝিমাল্লাদের ধরে মিয়ানমারে নিয়ে যায়। যেখানে তাঁর মালিকানাধীন ট্রলারে গুলিবিদ্ধ তিনজনের মধ্যে একজন মারা যান। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে ওই ট্রলারটি ছেড়ে দেওয়া হয়।
টেকনাফ ইউএনও মো. আদনান চৌধুরী বলেন, আজ দুপুর ১২টার দিকে মিয়ানমার নৌবাহিনী বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের কাছে একটি ট্রলারসহ জেলেদের হস্তান্তর করে। ট্রলারটি বেলা ২টা ৩০ মিনিটে ঘাটে পৌঁছায়। ওই ট্রলারে মোট ১১ জন জেলে রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে একজন নিহত এবং দুজন গুলিবিদ্ধ জেলে। মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ অন্য পাঁচটি বোট ছাড়েনি। সেখানে ৪৭ জন জেলে রয়েছেন।
এর আগে গত সোমবার টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ নাফ নদের মোহনা থেকে পাঁচ জেলেকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল মিয়ানমারের রাখাইনের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সদস্যরা। পরে আরাকান আর্মির সঙ্গে আলোচনা করে গতকাল বিজিবি তাঁদের ফেরত আনে।