কাপ্তাইয়ের সীতাঘাট এলাকায় কর্ণফুলী নদীতে ডুবে যাওয়ার ১৫ ঘণ্টা পর আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টায় অপূর্ব সাহার মৃতদেহ উদ্ধার করেছেন কাপ্তাই ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন কাপ্তাই ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার শাহীন আলম।
উদ্ধারকৃত অপূর্ব সাহা (১৯) চট্টগ্রাম মহানগর মাদারবাড়ী এলাকার মৃত অরূপ সাহার ছেলে। তাঁর পৈতৃক বাড়ি ফেনীতে হলেও তিনি দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রামের মাদারবাড়ি এলাকায় বসবাস করতেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম থেকে ছয় সদস্যের একটি পর্যটক দল সীতাঘাট এলাকায় কর্ণফুলী নদীতে গোসল করতে নামলে নদীর পানিতে চারজন তলিয়ে যান। সেই সময় দুজন পর্যটক সাঁতরে নদীর তীরে উঠতে সক্ষম হলেও দুজন ডুবে যান। পরে লেফটেন্যান্ট কমান্ডার ফয়জুল ইসলাম মণ্ডলের নেতৃত্বে আট সদস্যের কাপ্তাই নৌবাহিনীর ডুবুরি দলের কর্মীরা বিকেল ৫টায় পানিতে ডুবে যাওয়া লোকেশ বৈদ্য (১৯) নামে এক পর্যটকের মরদেহ উদ্ধার করেন। তিনি চট্টগ্রাম মহানগরের সদরঘাট এলাকার অপু বৈদ্যের ছেলে।
পরে কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহান এবং কাপ্তাই সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রওশন আরা রবের উপস্থিতিতে চন্দ্রঘোনা থানার পুলিশ লোকেশ বৈদ্যের মরদেহ তাঁর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন।
ওয়াগ্গা ইউনিয়নের ৯ নম্বর শিলছড়ি ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. সরোয়ার হোসেন জানান, আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৫টায় জেলেদের মাছ ধরার রশির সঙ্গে ভেসে ওঠে পানিতে ডুবে যাওয়া অপূর্ব সাহার মৃতদেহ। পরে কাপ্তাই ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা মরদেহ উদ্ধার করে চন্দ্রঘোনা থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।
এ বিষয়ে চন্দ্রঘোনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার চৌধুরী জানান, নিহত অপূর্ব সাহার পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো রকম আপত্তি না থাকায় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা নিয়ে তাঁর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।