প্রতিনিধি
তিতাস (কুমিল্লা): তিতাস নদীর ওপর নির্মিত সেতুটি যুক্ত করেছে উপজেলার কড়িকান্দি ইউনিয়নের বন্দরামপুর ও ইউসুফপুর গ্রাম। এর সেতু দিয়ে নিয়মিত যাতায়াত করে চারটি গ্রামের প্রায় ৯ হাজার মানুষ। তবে সংস্কারের অভাবে গত ৪৪ বছরের পুরোনো সেতুটির দুই পাশের মাটি সরে গেছে। অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এক মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে সেতুটি।
বন্দরামপুর গ্রামের শফর আলী (৯০) বলেন, ১৯৭৭ সালে বন্দরামপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাক চেয়ারম্যান থাকাকালে সেতুটি নির্মিত হয়। গত ৪৪ বছরে সংস্কার না হওয়ায় দুই পাশের মাটি ধসে গেছে, খসে পড়েছে ঢালাই। ব্রিজের দুইপাশের গোড়ায় মাটি না থাকায় শুকনো মৌসুমে মরিচা পড়া রডের ওপর কাঠের পাটাতন বসিয়ে লোকজন চলাচল করে। তবে, বর্ষা মৌসুমে এ সেতু পারাপারে সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়ে।
ঝুঁকিপূর্ণ ও ব্যবহারে অনুপযোগী এই সেতুর ওপর দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করেন কয়েক হাজার মানুষ। যেকোনো মুহূর্তে এটি ধসে পড়তে পারে। স্থানীয়রা এ স্থানে নতুন সেতু নির্মাণের দাবি করছেন বহুদিন ধরেই। কুমিল্লা-২ (হোমনা-তিতাস) আসনের সাংসদ সেলিমা আহমাদ মেরীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তারা।
সেতুটি সংস্কারের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী অহিদুর রহমান বলেন, আমি নতুন এসেছি। এই ব্রিজের বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাসিক সমন্বয় সভায় বিষয়টি উত্থাপন করলে এমপি মহোদয়ের নজরে আসবে। তাহলে দ্রুত একটা ব্যবস্থা নেওয়া যাবে বলে আশা করি।