লক্ষ্মীপুরে বৈষম্যবিরোধী দুজন ছাত্র আন্দোলনকারীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় থানায় পৃথক দুটি হত্যা মামলা করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে নিহত কলেজ শিক্ষার্থী আফনান হোসেনের মা নাছিমা আক্তার এবং সাব্বির হোসেনের বাবা আমির হোসেন বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা দুটি করেন।
দুই মামলায় ১ হাজার ৬৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার আসামিরা হলেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি এ কে এম সালাহ উদ্দিন টিপু, পৌরসভার মেয়র মোজাম্মেল হায়দার মাসুম ভূঁইয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চররুহিতা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সৈয়দ আহাম্মদ ও সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হাসান পলাশ, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম রকি ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ইউসুফ পাটওয়ারী, চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু তালেব, মান্দারী ইউপি চেয়ারম্যান সৌরভ হোসেন রুবেল পাটওয়ারী, বাংগাখাঁ ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, লাহারকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল আলমসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীরা।
এ সময় সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি সালাউদ্দিন টিপু নিজ বাসভবনের ছাদ থেকে আন্দোলনকারীদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকেন। তাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে কলেজ শিক্ষার্থী সাদ আল আফনান ও সাব্বির হোসেনসহ চারজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। গুলিবিদ্ধ হয় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী। পরে সালাউদ্দিন টিপুর দুটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন আন্দোলনকারীর। এ সময় বাসার আগুন থেকে বাঁচতে লাফিয়ে পড়ার সময় যুবলীগের সাত নেতা-কর্মীকে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্র-জনতা। এ ঘটনায় ওই দিন ১১ জন মারা যান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইয়াছিন ফারুক মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, দুটি হত্যা মামলায় উপজেলা চেয়ারম্যান, মেয়র, ইউপি চেয়ারম্যান, কাউন্সিলরসহ ১ হাজার ৬৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে।