বান্দরবানের রোয়াংছড়ি, রুমা এবং থানচি এই তিন উপজেলায় পর্যটক ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ পঞ্চম দফায় বাড়ানো হয়েছে। আজ শনিবার সন্ধ্যায় বান্দরবানের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজির সই করা এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এর আগে জারি করা নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আজ শেষ হওয়ায় নতুন করে মেয়াদ বাড়ানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বান্দরবানের বিভিন্ন দুর্গম এলাকার গহিন অরণ্যে লুকিয়ে থাকা জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের অবস্থান খুঁজে পেতে নিরাপত্তা বাহিনীর তল্লাশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ কারণে বান্দরবান সেনা রিজিয়নের পক্ষ থেকে রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি এ তিন উপজেলায় দেশি-বিদেশি সব পর্যটকদের ভ্রমণ বন্ধ রাখতে আজ জেলা প্রশাসনকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে পঞ্চম দফায় এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলো। এ নিষেধাজ্ঞা আগামীকাল রোববার থেকে কার্যকর হবে এবং ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
র্যাব, বিজিবি ও পুলিশ যৌথভাবে জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমন অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২০ অক্টোবর রাতে বাংলাদেশ-মিয়ানমার-ভারত সীমান্ত সংলগ্ন রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার বড়থলি এবং বান্দরবানের রুমা ও রোয়াংছড়ি থেকে নবপ্রতিষ্ঠিত জঙ্গি সংগঠন জিমাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া স্থানীয় সন্ত্রাসী গ্রুপ কেএনএফের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ১৮ অক্টোবর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এক আদশমূলে বান্দরবানের রোয়াংছড়ি ও রুমা উপজেলায় পর্যটক ভ্রমণে অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এর তিন দিন পর ২৩ অক্টোবর জেলার থানচি ও আলীকদম উপজেলায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। এরপর গত ৩০ অক্টোবর দ্বিতীয় দফায় নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল। পরবর্তীতে ৪ নভেম্বর তৃতীয় দফায় নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ ৮ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। চতুর্থ দফায় ৮ নভেম্বর থেকে নিষেধাজ্ঞা আজ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল।