১১ ঘণ্টার রুদ্ধশ্বাস অভিযান শেষে কর্ণফুলী নদীর মোহনা থেকে বিধ্বস্ত হওয়া বিমানটি তুলে এনেছে নৌবাহিনী। আজ বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫৫ মিনিটে নদীর তলদেশে বিমানটির ওপর হাত পড়ে নৌবাহিনীর ডুবুরি দলের। এরপর নৌবাহিনীর জাহাজ ‘বলবান’ এর মাধ্যমে উদ্ধার করা হয় বিদ্ধস্ত বিমানটিকে।
সকাল ১১টা থেকে উদ্ধার কাজ শুরু করে নৌবাহিনীর চারটি ডুবুরি দল।
প্রথমে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে তল্লাশির মাধ্যমে বিমানটি উদ্ধারের চেষ্টা করা হয়। এতে কাজ না হওয়া অত্যাধুনিক স্কেনিং যন্ত্রের মাধ্যমে কাজটি শুরু করার একপর্যায়ে ফল আসে। বলবানে থাকা ক্রেনের সাহায্যে বর্তমানে বিমানটিকে জাহাজে তুলে কূলে নিয়ে আসা হয়েছে।
এ বিষয়ে বলবানের নেতৃত্ব থাকা নৌবাহিনীর কর্মকর্তা আব্দুর রউফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের জাহাজে থাকা ক্রেনের মাধ্যমে বিমানটি উদ্ধার করা হয়েছে। প্রথমে স্কেনিং মেশিন দিয়ে বিমানটির অবস্থান শনাক্ত করা হয়। শনাক্তের পর ১ ঘণ্টার চেষ্টায় বিমানটি উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি আমরা।’ রাত ৯টার কিছু আগে বিধ্বস্ত বিমানটি শনাক্ত হয় বলে জানান তিনি।
দুই বাহিনীর সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, প্রথমে বিমানটি নিয়ে যাওয়া হবে পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল এলাকায়। সেখান থেকে বিমানবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হবে আনুষ্ঠানিকভাবে।
আইএসপিআর এর তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার সকালে বিমানবাহিনীর ইয়াক-১৩০ (YAK 130) প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানটি ‘যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে’ দুর্ঘটনায় পড়ে। দুর্ঘটনায় বৈমানিক উইং কমান্ডার মো. সোহান হাসান খান ও স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদ জরুরি প্যারাসুট দিয়ে বিমান থেকে নদীতে অবতরণ করেন। দুই বৈমানিককে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনীর উদ্ধারকারী দল এবং স্থানীয় জেলেদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় উদ্ধার করা হয়। পরে জাওয়াদ মারা যান।
আরও পড়ুন: