ধর্ষণের ফলে জন্ম নেওয়া শিশুর দায়িত্ব নেবে রাষ্ট্র। রাষ্ট্র আসামির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে সেই ব্যবস্থা করবে। এ ছাড়া শিশুটির বাবা হিসেবে পরিচিত হবে ওই আসামি।
আজ রোববার চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক ফেরদৌস আরা একটি ধর্ষণ মামলায় এ রায় দেন।
আদালতের রায়ে মো. শাহজাহান (২৪) নামের ওই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, তিন লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্ত ওই যুবকের বাড়ি মিরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ থানার মুরাদপুর গ্রামে।
২০১৬ সালের ১৫ মে মিরসরাই উপজেলায় ১৩ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মো. শাহজাহানকে আসামি করে চট্টগ্রাম আদালতে একটি মামলা হয়। ট্রাইব্যুনাল-৭-এর পিপি অ্যাডভোকেট খন্দকার আরিফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওই মামলায় আসামির বিরুদ্ধে আনীত অপরাধ সাক্ষ্য দ্বারা প্রমাণিত হয়। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।’
পিপি বলেন, ‘ধর্ষণের ফলে ওই কিশোরী একটি পুত্রশিশু জন্ম দেয়। আদালত আদেশে বলেছেন, ওই শিশুর সব ব্যয়ভার রাষ্ট্র বহন করবে। আসামির সম্পত্তি থেকে ব্যয়ভার বহন করা হবে। এজন্য সরকার আসামির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এ ছাড়া আসামি জন্মগ্রহণ করা তর্কিত শিশুর পিতা হিসেবে সমাজে পরিচিত হবে।’
এর আগে আদালত কিশোরীর মামলাটি আমলে নিয়ে জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দেন। তবে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়নি মর্মে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেন ওসি। পরে ওসির সেই প্রতিবেদনে নারাজি আবেদন করেন মামলার বাদী। আদালত আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
পিপি আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আসামি ওই শিশুর পিতৃত্ব অস্বীকার করেন। পরে মামলার বাদীর বিশেষ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়। ডিএনএ পরীক্ষায় শিশুটির পিতা হিসেবে ওই আসামি প্রমাণিত হয়।’