ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’ মোকাবিলায় কক্সবাজারের ৬৩৮টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলার সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। পাশাপাশি শুকনো খাবার, ওষুধ ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী মজুদ রাখা হয়েছে।
আজ শনিবার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের শহীদ এটিএম জাফর আলম সম্মেলন কক্ষে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরানের সভাপতিত্বে সভায় জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিভীষণ কান্তি দাশ, কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মুজিবুল ইসলামসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তর, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, এনজিও কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় সরকারি বিভিন্ন দপ্তর তাদের প্রস্তুতির কথা তুলে ধরে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’ মোকাবিলায় জেলার ৯ উপজেলায় ৬৩৮টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। এ ছাড়া ৮ হাজার ৬০০ স্বেচ্ছাসেবক এবং ২২০০ সিপিপি সদস্য ও মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান জানিয়েছেন, দুর্যোগ মোকাবেলায় ৪৮৬ মে.টন চাল, ২ লাখ ৭৫ হাজার নগদ টাকা, ২৩ বান্ডিল ঢেউটিন, গৃহ নির্মাণ মঞ্জুরির ৬৯ হাজার টাকা, পর্যাপ্ত শুকনো খাবার, ওষুধ ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী মজুদ রাখা হয়েছে।