রাঙামাটির জুরাছড়ি উপজেলার কৃষি বিভাগের ভবনগুলো ২৮ বছর ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। এ দীর্ঘ সময়ের ভেতরে একবারও সংস্কার করা হয়নি। নেওয়া হয়নি পুনর্নির্মাণের উদ্যোগ। এ সুযোগে পরিত্যক্ত ভবনগুলোর চারপাশের জায়গাগুলো বেদখল হয়ে গেছে। ভবনগুলোর টিন, লোহা, গ্রিল ও মূল্যবান জিনিস কোনটি আর নেই। ইট গাঁথুনির ফাটল ধরা দেয়ালগুলো ঠাঁই দাঁড়িয়ে আছে।
উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, ১৯৮০ সালে কৃষি সম্প্রসারণ অফিস স্থাপন করা হয়। ইট ও টিনের তৈরি সেমি পাকা এ ঘরগুলোতে বসতো উপজেলার বিভিন্ন ব্লকে কর্মরত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা। রাখা হতো কৃষি সরঞ্জাম এবং সার। একই সময়ে বনযোগীছড়া ইউনিয়নের এরাইছড়ি মৌজাই (বর্তমানে লেবারপাড়া) তিনটি একই নকশায় ঘর নির্মাণ করা হয়। পরে ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে ওই ঘরগুলোর টিন ও বিভিন্ন অংশ ধসে গেলে তা আর সংস্কার করা হয়নি। এরপর থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। ফলে বর্তমানে ভবনগুলোর চারপাশে গড়ে উঠেছে দোকান-পাট। লেবারপাড়ার ভবনগুলোও একই অবস্থা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সুম্মিতা চাকমা বলেন, পরিত্যক্ত ভবনগুলোর জায়গায় নতুন ভবন নির্মাণ করতে কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। নতুন ভবন তৈরি করা হলে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের আবাসন নিশ্চিত হবে। পাশাপাশি সরকারি জায়গাগুলো সুরক্ষিত থাকবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার জিতেন্দ্র কুমার নাথ বলেন, কৃষি বিভাগের জায়গায় কিংবা ভবনে স্থাপনা সম্পূর্ণ বেআইনি। কৃষি বিভাগ থেকে নতুন ভবন শুরু করলে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হবে।