বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে কৃষক লীগ নেতাকে গুলির অভিযোগে সাধনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কে. এম সালাহ উদ্দীন কামালকে প্রধান আসামি করে মামলা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বাঁশখালী থানায় কৃষক লীগ নেতা ইলিয়াছের পক্ষে বাবা মোহাম্মদ ইদ্রিছ মামলা করেন। মামলায় কে. এম সালাহ উদ্দীন কামালসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে গুলি, হামলা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাটের অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৯ মে বিকেল সাড়ে ৫টায় সাধনপুর ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে উপজেলার সাধনপুর বানীগ্রাম নতুন বাজার এলাকায় জ্ঞাত-অজ্ঞাত ৩০-৪০ জন মানুষ উপজেলা কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইলিয়াছ (৪০) ও তাঁর বাবা মোহাম্মদ ইদ্রিছের (৬৫) ওপর হামলা চালায়। প্রকাশ্যে গুলির ঘটনা ঘটে এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট করা হয়। এ সময় দা, কিরিচ ও লোহার রডের আঘাতে গুরুতর আহত হন মো. ইলিয়াছ। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মামলার এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, ২০১৫ সালে বাঁশের কেল্লার অ্যাডমিন চেয়ারম্যান কে এম সালাউদ্দিন কামালের ভাই এম জিয়া উদ্দিন ফাহাদকে জঙ্গি হিসেবে গ্রেপ্তার করেছিল আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। তাঁর বিরুদ্ধে টিভিতে সাক্ষাৎকার দেওয়ার অভিযোগে এ হামলা চালানো হয়।
কৃষক লীগ নেতা মো. ইলিয়াছের বাবা মো. ইদ্রিছ বলেন, ‘আমিও ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে আমিও হামলায় আহত হয়েছিলাম। বর্তমানে কিছুটা সুস্থ হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে বাঁশখালী থানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছি।’
এ বিষয়ে সাধনপুর ইউপি চেয়ারম্যান কে এম সালাউদ্দিনের কামালের মুঠোফোনে বেশ কয়েকবার কল করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘ভুক্তভোগীরা সাধনপুর ইউপি চেয়ারম্যানকে ১ নং আসামি হিসেবে এজাহারে দিয়েছে। মামলায় তাঁরা আরও ১৮ জনের নামোউল্লেখসহ অজ্ঞাত ৩০-৪০ জনকে আসামি করেছে। মামলার তদন্ত করে দ্রুত দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’