ডায়রিয়ায় স্বামী এরশাদের (২৮) মৃত্যুর দুই দিন পর স্ত্রী আয়েশা আক্তারও (২৩) হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাঁর অবস্থাও অনেকটা সংকটাপন্ন। গতকাল সোমবার এরশাদের মরদেহ দাফনের পর আয়েশাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়।
মৃত এরশাদ ও আয়েশা আক্তার হাতিয়া বুড়িরচর ইউনিয়নের কালিরচর গ্রামের ইসলামিয়া বাজারের পাশে বেড়ির ওপরে বসবাস করতেন।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫ জন রোগী ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ৫০ শয্যার হাসপাতালে আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টা পর্যন্ত ৬৯ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামাল দিতে অনেকটা হিমশিম খেতে হচ্ছে দায়িত্বরত ডাক্তার ও নার্সদের।
সরেজমিনে দেখা যায়, হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগীর চাপ অনেক বেশি। ওয়ার্ডে জায়গা না থাকায় অনেকে বারান্দায় অবস্থান করছেন। অনেকের ঠাঁই হয়েছে সিঁড়ির নিচে ও পরিত্যক্ত জায়গায়। বারান্দায় বৈদ্যুতিক পাখার ব্যবস্থা না থাকায় গরমের মধ্যে অনেক রোগীকে কষ্ট করে থাকতে হচ্ছে। বহির্বিভাগেও একই অবস্থা। হাসপাতালের শয্যাসংখ্যা কম হওয়ায় অনেকে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে বাড়িতে চলে যাচ্ছেন।
আমির হোসেন আরও বলেন, বোনজামাই এরশাদ স্থানীয় আলী ডুবাইয়ের মাছ ধরা ট্রলারে কাজ করতেন। ট্রলারটি নদীতে থাকা অবস্থায় ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয় তিনি। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগেই তাঁর মৃত্যু হয়।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক উপসহকারী মেডিকেল অফিসার মো. শামছুদ্দিন বলেন, অতিরিক্ত পানি শূন্যতায় এরশাদের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর শরীরে পানি শূন্যতা থাকায় রগগুলো শুকিয়ে গিয়েছিল।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. নাজিম উদ্দিন বলেন, ঋতু পরিবর্তনের কারণে এখন গরম যত বাড়ছে, ডায়রিয়ার রোগীও তত বাড়ছে। ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে সব সময়ই ৮০-৯০ জন রোগী ভর্তি থাকেন। তবুও আমরা আমাদের সাধ্যমতো সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি।