নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে গত এক সপ্তাহে করোনা সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমুখী। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণে কেউ মারা না গেলেও ১৫৮ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ১৮ শতাংশ, যা আগের দিন ছিল ২৪ শতাংশ।
আজ মঙ্গলবার সকালে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে পাঠানো করোনা–সংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৩৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৫৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এর মধ্যে নগরের ১০৬ জন, বাকি ৫২ জন বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার।
ভারতের ডেলটা ধরনের রোগী চট্টগ্রামে শনাক্তের কথা জানান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগ ও আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) ১৩ জন গবেষক।
গবেষকেরা চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতাল ও গবেষণাগার থেকে গত মে মাসের শেষ সপ্তাহে ৪২ জনের নমুনা সংগ্রহ করেন। নমুনা বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৪২ জনের মধ্যে দুজন ভারতে পাওয়া করোনার ‘ডেলটা’ ধরনে আক্রান্ত। তিনজন আক্রান্ত নাইজেরিয়ার ‘ইটা’ ধরনে। চারজন যুক্তরাজ্যের ‘আলফা’ ধরনে আক্রান্ত। বাকি ৩৩ জন দক্ষিণ আফ্রিকার ‘বিটা’ ধরনে আক্রান্ত।
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট আবদুর রব মাসুম আজকের পত্রিকাকে জানান, ভারতীয় ডেলটা ধরন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। তাই এখনই সতর্ক হতে হবে।
সিভিল সার্জন শেখ ফজলে রাব্বি আজকের পত্রিকাকে বলেন, `ভারতীয় ধরনের চেয়ে চট্টগ্রামে আফ্রিকান ধরন বেশি। এটি বেশি ছড়াচ্ছে। আমরা পর্যবেক্ষণে রেখেছি। তবে চট্টগ্রামে এখনো করোনা রোগীর জন্য পর্যাপ্ত সিট খালি। আইসিইউ বেড ৪০ শতাংশ ও জেনারেল বেড ৬০ শতাংশ খালি।
গত রোববার চট্টগ্রামে করোনায় দুজন মারা যান। এদিন ৭৪১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। ৬৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়। পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ছিল প্রায় ৯ শতাংশ।
চট্টগ্রামে গত বছরের ৩ এপ্রিল প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ৯ এপ্রিল করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম এক ব্যক্তি মারা যান।