কুমিল্লা প্রতিনিধি
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে উপনির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে, ততই প্রচারে গতি বাড়াচ্ছেন প্রার্থীরা। গতকাল শুক্রবার ছুটির দিনে সকাল থেকেই তাঁরা ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটে চলেছেন। দিয়েছেন নানা প্রতিশ্রুতি। গণসংযোগ, উঠান বৈঠক, পথসভাসহ লিফলেট বিতরণ করে ভোট চেয়েছেন চার প্রার্থীর সবাই।
সকালে সংরাইশ সুজানগর থেকে গণসংযোগ করেন বাস প্রতীকের প্রার্থী তাহসীন বাহার সূচনা। তিনি বলেন, ‘বাবা এমপি হওয়ার সুবাদে আমি সব সময় সাধারণ মানুষের সাথে মিশেছি, কাজ করছি। বিশেষ করে মা-বোনদের সুখ-দুঃখে সব সময় পাশে ছিলাম। গণসংযোগে আমাকে কাছে পেয়ে তাঁরা আবেগাপ্লুত হয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরেন।’
সূচনা দাবি করেন, বিভিন্ন প্রার্থী শুধু অভিযোগে ব্যস্ত। প্রার্থীদের উচিত নিজ নিজ যোগ্যতা অনুযায়ী কথা বলা এবং সেভাবে কাজ করা।
ঠাকুরপাড়া ও বাগানবাড়ি এলাকায় গণসংযোগ করেন হাতি প্রতীকের নূর উর রহমান মাহমুদ তানিম। এ সময় তিনি অভিযোগ করেন, সদর আসনের সংসদ সদস্য তাঁর মেয়ের পক্ষে প্রভাব বিস্তার শুরু করেছেন। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে আরও শক্ত অবস্থান নিতে হবে। তা না হলে নির্বাচনের সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশ থাকবে না।
মফিজাবাদ কলোনি থেকে গতকাল গণসংযোগ শুরু করেন সাবেক মেয়র ও টেবিলঘড়ি প্রতীকের প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু। এ সময় তিনি বলেন, ‘স্থানীয় সংসদ সদস্য বিভিন্ন স্থানে সংবর্ধনার নামে তাঁর কন্যার পক্ষে শোডাউন করছেন। বিভিন্ন স্থানে প্রভাব বিস্তার করছেন। আমরা নির্বাচন কমিশনারের কাছে অভিযোগ করেছি। বৃহস্পতিবার কুমিল্লায় নির্বাচন কমিশন দায়সারাভাবে সভা করে গেছে। আমাদের অভিযোগ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়নি। নির্বাচনের আগে জনগণকে ভোটদানে উৎসাহিত করতে নির্বাচন কমিশন থেকে ব্যাপক প্রচার করতে হবে, সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিতে হবে।’
অন্যদিকে ঘোড়া প্রতীকের নিজাম উদ্দিন কায়সার মুরাদপুর এলাকা থেকে গণসংযোগ শুরু করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘পরিবর্তনের জন্য মানুষের মধ্যে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এই জোয়ার ঘোড়া প্রতীকের জোয়ার, খালেদা জিয়াকে মুক্ত ও বিএনপিকে রক্ষার গণজোয়ার।’
নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী কুমিল্লা সিটির ২৭টি ওয়ার্ডে ৯ মার্চ ভোট গ্রহণ হবে। ভোট নেওয়ার ৪৮ ঘণ্টা আগে শেষ হবে প্রচার।