চট্টগ্রামের কর্ণফূলী নদীতে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে এক পাইলটের মৃত্যু হয়েছে। আজ সকালে যুদ্ধবিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার প্রায় দুই ঘণ্টা পর বেলা ১২টার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (বন্দর) শাকিলা সোলতানা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
শাকিলা সোলতানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিমানবাহিনীর বিধ্বস্ত প্রশিক্ষণ বিমানে আসিম (আসিম জাওয়াদ) নামের এক পাইলট নেভি হাসপাতালে (পতেঙ্গার বানৌজা ঈসা খাঁ হাসপাতালে) মারা গেছেন। প্রথম থেকেই তাঁর অবস্থা খারাপ ছিল। বেলা ১২টার দিকে আইসিইউতে তাঁর মৃত্যু হয়।’
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিমানবাহিনীর ওয়াইএকে-১৩০ নামক যুদ্ধবিমানটি রানওয়ে দিয়ে ওঠার সময় স্পার্কস করে। এ সময় বিমানটির পেছন দিকে আগুন লেগে যায় এবং একপর্যায়ে চট্টগ্রাম বোট ক্লাবের অদূরে পতেঙ্গার কনটেইনার টার্মিনালের সামনে কর্ণফুলী নদীতে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে।
শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইব্রাহিম খলিল বলেন, ‘বিমানে থাকা দুজন পাইলটকে আমরা প্যারাসুট করে নামতে দেখেছি। ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতেও দুই পাইলটকে প্যারাসুটে চড়ে নামতে দেখা গেছে। সেখানে দেখা গেছে, হঠাৎ আকাশে থাকা উড়োজাহাজটিতে আগুন ধরে যায়। তখন দুই পাইলট প্যারাসুটে নদীর ওপর নেমে পড়েন। এর মধ্যেই বিমানটি বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়।’