ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি
সত্তরোর্ধ্ব বেলি বেগম। একটি বাড়িতে একা থাকেন। ঘুমিয়ে পড়লে আর সহজে জাগতে পারেন না তিনি। তাই ভেতর থেকে খিল দিয়ে ঘুমান। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বাড়িতে আগুন লাগলে তিনি প্রথমে টের পাননি। যখন টের পেয়েছেন, তখন ধোঁয়ায় ঘর ছেয়ে গেছে। অন্ধকারে হাতড়ে খিল খুঁজে পাননি। পরে ঘর থেকে তাঁর দগ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার করেন আত্মীয়রা।
মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১১ নম্বর চরদুঃখিয়া পূর্ব ইউনিয়নের পশ্চিম সন্তোষপুর গ্রামের হাজীবাড়িতে।
স্থানীয়রা জানান, গভীর রাতে বসতঘরে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে দেখে প্রতিবেশীরা। বাড়ির লোকজনের চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসে। স্থানীয়দের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হলেও বৃদ্ধা বেলি বেগমকে (৭০) জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বেলি বেগম ওই টিনশেড বাড়িতে একাই থাকতেন। ভেতর থেকে তালা মেরে ঘুমাতেন। পরে দেয়াল ভেঙে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
বেলি বেগমের ছোট বোন মনি বেগম বলেন, ‘আমার বোন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে আয়া পদে কাজ করতেন। স্বামী সাজ্জাদ হোসেন ২০০৮ সালে মারা গেছেন। গত প্রায় আড়াই বছর ধরে বাবার বাড়িতে একাই থাকতেন বেলি বেগম।’
পার্শ্ববর্তী উপজেলা হাইমচর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার ওহীদুল ইসলামের ধারণা, এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।
ফরিদগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শহীদ হোসেন বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে আমি নিজে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। কী কারণে আগুন লেগেছে তা জানা যায়নি। তবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মারা যাওয়া বেলি বেগমের মরদেহ আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাঁর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’