কক্সবাজারের সমুদ্র উপকূলের আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ২ লাখ মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। এখনো অনেকে আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটছেন। অনেকেই উপকূলের আশপাশে আত্মীয়-স্বজনের বাসায় উঠেছেন। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, কাল রোববার দুপুরের মধ্যে ঝুঁকিতে থাকা লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে আনার প্রস্তুতি রয়েছে।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা কক্সবাজারের উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বার্তায় কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। দুপুর থেকে জেলার উপকূলীয় এলাকায় মোখার প্রভাব পড়া শুরু হয়েছে। সকাল থেকে থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। তবে কোথাও ঝোড়ো হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। দুপুরের পর থেকে উপকূলের বাসিন্দারা আশ্রয়কেন্দ্রমুখী হয়েছেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিভীষণ কান্তি দাশ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় দুর্যোগকালীন সময়ে আশ্রয়দানের জন্য আগে থেকে প্রস্তুত রাখা ৫৭৬টি আশ্রয়কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়িয়ে ৬৩৬টি করা হয়েছে। পাশাপাশি এর মধ্যে ৬৪টি আবাসিক হোটেল-মোটেলেও মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। ৬ লাখ মানুষ আশ্রয় নিতে পারবেন এসব আশ্রয়কেন্দ্রে।
বিভীষণ কান্তি দাশ আরও বলেন, রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ১ লাখ ৯১ হাজার ৭৭৬ জন আশ্রয় নিয়েছেন। অনেকেই আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে উঠেছেন। আশাকরি কাল রোববার দুপুরের মধ্যে সবাইকে সরিয়ে আনা সম্ভব হবে। সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা সেন্ট মার্টিন নিয়ে সবার সমন্বয়ে আলাদা ব্যবস্থাপনা রয়েছে। সেখানকার আশ্রয়কেন্দ্র, হোটেল-রিসোর্ট ও দুতিন তলা ভবনগুলোয় ৭ হাজারের বেশি মানুষ থাকার সুযোগ রয়েছে। ইতিমধ্যে ৪ হাজার ৩০৩ জন আশ্রয়কেন্দ্রে এসেছেন। আশ্রিত মানুষজনকে খাওয়া-দাওয়া ও অন্যান্য সেবা নিশ্চিতের জন্য স্বেচ্ছাসেবকেরা কাজ করছেন।