চট্টগ্রামে মামলার আসামি করে পরে ওই আসামিদের পক্ষে হলফনামা দেওয়া ও জামিন চাওয়ায় বাদীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজের একটি আদালতে এ ঘটনা ঘটেছে।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আশরাফ হোসেন চৌধুরী রাজ্জাক বলেন, ৫ ঘণ্টা হাজতবাসের পর মুচলেকা দিয়ে পরে মুক্তি পান ওই বাদী।
আইনজীবী আশরাফ বলেন, জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাটহাজারী থানার একটি মামলায় গ্রেপ্তার আসামি আবুল মনসুর ও মো. হাসানের জামিনের আবেদন করা হয়েছিল। কয়েক মাস আগে এই দুজনসহ ৩১ জন আসামি জড়িত নন বলে দাবি করে একটি হলফনামা দিয়েছিলেন মামলার বাদী তসলিমা আক্তার।
সরকারি কৌঁসুলি আরও বলেন, সোমবার আদালতে আসামিদের জামিন শুনানির সময় তাঁদের জামিনে আপত্তি নেই বলে জানান বাদী। তখন বিচারক বাদীর কাছে জানতে চান, কেন মামলা করলেন, আবার হলফনামা দিলেন ৩১ আসামির নামে। এখন জামিনে আপত্তি নেই জানালেন। বাদী কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। পরে বিচারক বাদীকে হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৫ ঘণ্টা হাজতবাসের পর বাদী ভবিষ্যতে আর এ ধরনের কাজ করবেন না বলে আদালতে লিখিত মুচলেকা দেন। পরে আদালত তাঁকে ছেড়ে দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ৪ আগস্ট হাটহাজারী থানার একটি মামলায় ধলই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আবুল মনসুর এবং মো. হাসান গত ৫ ফেব্রুয়ারি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন।