দীর্ঘ ১০ দিন ধরে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে অবশেষে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন অ্যাসিডে দগ্ধ নারী ইয়াছমিন আকতার (২০)। তিনি চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়া উপজেলার বেতাগী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ডিঙ্গললোঙ্গা এলাকার আবুল বাশারের মেয়ে। আজ শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তিনি মারা যান।
ইয়াছমিন আকতারের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে তাঁর ভাই আবু তাহের জানান, ‘গত ৪ মে রাত ২টার দিকে হঠাৎ ইয়াছমিনের চিৎকার শুনে ছুটে গিয়ে দেখি তার শরীরের অর্ধেক ঝলসে গেছে। এই অবস্থা কে করেছে—জানতে চাইলে ইয়াছমিন জানায়, আজিম জানালা দিয়ে অ্যাসিড নিক্ষেপ করে পালিয়ে গেছে। তাৎক্ষণিক পুলিশকে খবর দিলে তাদের সহযোগিতায় ইয়াছমিনকে প্রথমে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য চন্দ্রঘোনার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থা গুরুতর দেখে চিকিৎসক চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে তাকে পাঠান। চমেক হাসপাতালে ইয়াছমিনের অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকেরা তাকে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে পাঠান। সেখানে আজ শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যায়।’
এ ঘটনায় ইয়াছমিন আকতারের ভাই আবু তাহের বাদী হয়ে মো. আজিমকে আসামি করে একটি মামলা করেন। পরে চন্দ্রঘোনা এলাকায় অভিযান চালিয়ে নিজ বাড়ি থেকে আজিমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এ বিষয়ে রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুব মিলকী জানান, গত ৪ মে রাতে মো. আজিম (৩০) নামের এক ব্যক্তি ইয়াছমিন আকতারের সঙ্গে দেখা করতে আসেন। এ সময় তাঁদের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে আজিম ইয়াসমিনকে অ্যাসিড ছুড়ে মারেন। আজিমকে পরে রাঙ্গুনিয়া থানা-পুলিশ গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠায়। ইয়াছমিন আকতার মারা যাওয়ায় এখন এ মামলা হত্যা মামলায় রূপান্তর হবে।’