হোম > সারা দেশ > চট্টগ্রাম

উপাচার্য-শিক্ষক সমিতির দ্বন্দ্বে ১ মাস বন্ধ কুবি, সেশনজটের শঙ্কা

কুমিল্লা প্রতিনিধি

উপাচার্য ও শিক্ষক সমিতির দ্বন্দ্বে প্রায় এক মাস ধরে বন্ধ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি)। উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনার জন্য দেওয়া চিঠি প্রত্যাখ্যান ও সিন্ডিকেটের গঠিত দুই কমিটির প্রতি অনাস্থা জানিয়ে আন্দোলনের মাঠে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি। এতে পাঠদান না চলায় সেশনজটের আশঙ্কা করছেন শিক্ষার্থীরা। 

কুবির একাডেমিক কার্যক্রম দ্রুত শুরুর লক্ষ্যে উপাচার্য এ এফ এম আব্দুল মঈনের সঙ্গে আলোচনার আহ্বান জানিয়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. আবু তাহের ও সাধারণ সম্পাদক মো. মেহেদী হাসানকে গত রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দেন রেজিস্ট্রার মো. আমিরুল হক চৌধুরী। আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত এই আহ্বানে সাড়া দেয়নি শিক্ষক সমিতি। তারা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের দায় উপাচার্যের উল্লেখ করে আলোচনায় বসতে অপারগতা প্রকাশ করেছে। এ নিয়ে শিগ্‌গির সমাধানের কোনো পথ দেখছেন না শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর মো. আবু তাহের বলেন, ‘সিন্ডিকেটকে প্রভাবিত করে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দিয়েছেন উপাচার্য। এখন বিশ্ববিদ্যালয় খুলতে হবে। খোলার জন্য আমাদের সঙ্গে আলোচনা করার দরকার নেই। যখন তিনি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করেছেন, তখন তো কারও সঙ্গে আলোচনা করেননি। আর আমরা উপাচার্যের অপসারণ বা পদত্যাগের দাবিতে এক দফা আন্দোলনে আছি। এর আগে যখন সাত দফা দাবি পূরণ চেয়েছিলাম, তখন তো তিনি আমাদের ডাকেননি।’ 

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ এফ এম আবদুল মঈন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শিক্ষক সমিতি অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম ও ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দিয়েছিল। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েকটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছিল তাই বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের বিষয়ে সিন্ডিকেট সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখানে আমার কিছু করার সুযোগ নেই। সিন্ডিকেট শিক্ষকদের দাবি-দাওয়া ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার বিষয়ে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছে। ওই তদন্ত কমিটিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্যসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি আছেন।’ 

উপাচার্য আবদুল মঈন আরও বলেন, ‘একটি শক্তিশালী কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনে শিক্ষক সমিতি অনাস্থা দিয়েছে। তারা বিশ্ববিদ্যালয় বা শিক্ষার্থীদের ভালো চান না, ব্যক্তিগত সুবিধার জন্য আন্দোলন করছেন। শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করার জন্যই আমরা শিক্ষক সমিতির সঙ্গে আলোচনার জন্য চিঠি দিয়েছিলাম। তাঁরা সেই চিঠিতে সাড়া দেননি। আমরা তাঁদের সব বিষয়ে আলোচনার জন্য অপেক্ষায় রয়েছি।’ 

এদিকে উপাচার্য-শিক্ষক সমিতির দ্বন্দ্বে অনেক দিন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় সেশনজটের আশঙ্কা করছেন শিক্ষার্থীরা। তাঁদের দাবি, উভয় পক্ষের আন্তরিকতায় দ্রুত সময়ের মধ্যে খুলে দেওয়া হোক বিশ্ববিদ্যালয়। 

সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তে গত ১ মে থেকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এর আগে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাত দফা দাবি আন্দোলনে একাডেমির সব কার্যক্রম বর্জন করেন শিক্ষকেরা। পরে এই আন্দোলনের দাবি এক দফায় গিয়ে ঠেকে। শিক্ষক সমিতি উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে। 

গত ২৮ এপ্রিল উপাচার্যপন্থী শিক্ষক ও শিক্ষক সমিতির সদস্যদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে উভয় পক্ষ একে অপরকে দায়ী করে থানায় লিখিত অভিযোগ করে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্তে ১ মে থেকে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা হয়।

চকরিয়া থানা সেন্টার মসজিদের টয়লেট থেকে মুসল্লির লাশ উদ্ধার

বিয়ের ৮ মাসের মাথায় শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা

কারা পরিদর্শক হলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক

রাঙ্গুনিয়ায় গৃহবধূ হত্যা মামলায় নারী গ্রেপ্তার

পুলিশের ওপর হামলা: গ্রেপ্তার আরও ৫, বিক্ষোভ মিছিল

রামগড় ও বিলোনিয়া স্থলবন্দরের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন

কুমিল্লা মহানগর আ.লীগ নেতা কবিরুল শিকদার গ্রেপ্তার

মিরসরাইয়ে বাসের ধাক্কায় প্রাণ গেল ৩ মোটরসাইকেল আরোহীর

টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন, দগ্ধ শিশুর মৃত্যু

চট্টগ্রাম থেকে পাইপে তেল নারায়ণগঞ্জে

সেকশন