একই দিনে পড়েছে পয়লা ফাল্গুন আর বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। উদ্যাপন করতে তাই দেশের নানা প্রান্ত থেকে পর্যটকেরা ছুটে এসেছেন কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে। তবে পর্যটনসংশ্লিষ্টরা বলছেন, দুটি দিবস একসঙ্গে হলেও ছুটির দিন না হওয়ায় কাঙ্ক্ষিত পর্যটক সমাগম হয়নি। অবশ্য বড় হোটেলগুলোতে বসন্তবরণ ও ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে ছিল নানা আয়োজন।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে শহরের সমুদ্রসৈকতের লাবণী, সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্টে গিয়ে দেখা যায়, নানা বয়সী পর্যটক ভিড় জমিয়েছেন। অনেক নারী মাথায় ফুলের মালা ও গায়ে হলুদ পোশাক পরে সৈকত রাঙিয়েছেন।
বিকেল সাড়ে ৫টায় নীল জলরাশিতে লাল সূর্য হেলে পড়ে মনোমুগ্ধকর এক পরিবেশের সৃষ্টি করে। এ দৃশ্য পর্যটকদের কেউ কেউ ক্যামেরায় বন্দী করেন, কেউ আবার সেলফি তোলেন। বিচ বাইক, ওয়াটার বাইকে চড়ে সমুদ্র দর্শন করেন অনেক পর্যটক, কেউ আবার সৈকতে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন ঘোড়ার গাড়িতে চেপে। পর্যটকদের পাশাপাশি স্থানীয়রাও বসন্তবরণ ও ভালোবাসা দিবস উদ্যাপনে হাজির হয়েছিলেন সৈকতে।
জেলা প্রশাসনের বিচকর্মী বেলাল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, দুপুরের পর থেকে সৈকতের তিনট পয়েন্টে অন্তত ৫০ হাজার পর্যটক নেমেছেন।
বিকেলে কথা হয় ময়মনসিংহের নান্দাইল থেকে আসা নবদম্পতি সাইফুল আজম ও শাহীনা আক্তারের সঙ্গে। তাঁরা জানান, এক সপ্তাহ আগে বিয়ে হয়েছে। পয়লা ফাল্গুন ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবস একসঙ্গে পেয়ে বেড়ানোর জন্য সমুদ্রসৈকতে ছুটে এসেছেন। খুবই ভালো লাগছে। তাঁদের মতো দুটি দিবস একসঙ্গে পেয়ে কক্সবাজার ছুটে এসেছেন অনেকেই।
তবে কক্সবাজার হোটেল মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার জানান, হোটেলগুলোর মোটামুটি অর্ধেক কক্ষ ভাড়া হয়েছে। দুটি দিবস একসঙ্গে পড়লেও অফিস-আদালত খোলা থাকায় কাঙ্ক্ষিত পর্যটক আসেননি।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার শেহরিন আলম বলেন, পর্যটকদের পাশাপাশি সৈকতে বিপুলসংখ্যক স্থানীয় লোকজন ঘুরতে এসেছেন। পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় পুলিশ কাজ করছে।