কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে দুর্বৃত্তের গুলিতে খুলনা সিটি করপোরেশনের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর গোলাম রব্বানী টিপু (৫৫) নিহতের ঘটনায় দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে র্যাব। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন খুলনা সিটি করপোরেশনের ১৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ হাসান ইফতেখার ওরফে সালু (৫৩)। তিনি ওই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তাঁকে গতকাল রাত সাড়ে ১২টার দিকে হোটেল সি হিল থেকে আটক করে র্যাব। পরে ভোররাতে র্যাব কক্সবাজার শহরের টেকপাড়ার বাসিন্দা মেজবাহ হক ভুট্টোকে আটক করে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গোলাম রব্বানী টিপু সৈকত তীরের হোটেল সি গালসংলগ্ন ঝাউবনের ভেতরে গতকাল রাতে কাঠের তৈরি সেতুর পাশে হাঁটছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলে দুই ব্যক্তি এসে টিপুর মাথায় গুলি করে দ্রুত পালিয়ে যান। পূর্বশত্রুতার জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, খুলনা সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর গোলাম রব্বানী টিপু, শেখ ইফতেখার গতকাল সকালে কক্সবাজারে আসেন। তাঁরা সকাল ৭টার দিকে শহরের কলাতলী এলাকার হোটেল গোল্ডেন হিলে ওঠেন। হোটেলের ‘অতিথি লিপিবদ্ধ বই’-এ দেখা গেছে, আটক ইফতেখার নিহত গোলাম রব্বানী টিপুর সঙ্গে রুমি (২৭) নামে এক নারীও ছিলেন। ওই নারী পলাতক রয়েছেন।
এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন আরও জানান, হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, গতকাল সন্ধ্যা ৬টা ৩১ মিনিটে ওই নারীসহ নিহত কাউন্সিলর টিপু হোটেল থেকে বের হন।
এরপর রাত ৮টা ২০ মিনিটের দিকে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত–সংলগ্ন হোটেল সি গালের সামনের ফুটপাতে দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হন গোলাম রব্বানী টিপু।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘খুলনা সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর হত্যার রহস্য উন্মোচনে পুলিশের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক টিম কাজ করছে। এর মধ্যে দুজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’