তথ্য গোপন করে ভোটে জয়ী হওয়ার ঘটনার ৯ দিন পর গেজেট বাতিলের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী ও নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন দুই পরাজিত প্রার্থী মোহাম্মদ হোসেন বাবুল ও জাকির হোসেন। আজ মঙ্গলবার জেলা প্রশাসক, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাচন ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা।
দুই প্রার্থী তাঁদের অভিযোগে জানা যায়, হাসান পাটোয়ারী রামগঞ্জ উপজেলার ২ নম্বর নোয়াগাঁও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি। জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী একই ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড সাউদেরখীল গ্রামের ভোটার তিনি। কিন্তু তিনি তথ্য গোপন করে গত ২৮ নভেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পার্শ্ববর্তী ৬ নম্বর ওয়ার্ড শৈরশৈ গ্রাম থেকে মোরগ প্রতীকে নির্বাচিত হন।
নির্বাচনে নোয়াগাঁও ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড শৈরশৈ থেকে বর্তমান ইউপি সদস্য মোহাম্মদ হোসেন বাবুল (ভ্যানগাড়ি), জাকির হোসেন (ফুটবল), দেলোয়ার হোসেন (আপেল), আবুল কালাম (তালা) ও হাসান পাটোয়ারী (মোরগ প্রতীকে) অংশগ্রহণ করেন। ভোটের দিন ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি ও মোরগ প্রতীকের প্রার্থী হাসান পাটোয়ারী ভোট দিতে গিয়ে ইভিএম মেশিনে আঙুলের ছাপ না মেলায় ভোট দিতে পারেননি। বিষয়টি নিয়ে তখন কোনো সন্দেহ না হলেও পরবর্তী সময়ে ভোটার তালিকা ও জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করলে তাতে গড় মিল দেখা যায়।
ওই দুই প্রার্থী বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ আইন-২০০৯ এর ২৬ (১) এর (ঘ) ধারা লঙ্ঘন করে ভোটার তালিকার তথ্য গোপন করায় সদ্য নির্বাচিত ইউপি সদস্যের গেজেট স্থগিত করণসহ প্রার্থিতা বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে হাসান পাটোয়ারী বলেন, আমি মূলত শৈরশৈ ওয়ার্ডের ভোটার। কিন্তু জাতীয় পরিচয়পত্রে ভুলক্রমে আমার ভোটার এলাকা সাউদেরখীল হওয়ায় ঝামেলা দেখা দিয়েছে।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবু তাহের বলেন, আমি ঘটনাটি জানতে পেরেছি। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাপ্তি চাকমা বলেন, এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের আলোকে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত মতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।